পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যকাল—ভাষা । > &ぐ মধ্যকালের বিবরণে আমরা বৃন্দাবনদাসের চৈতন্যভাগবত হইতে আরম্ভকরিয়া কবিরঞ্জনবিদ্যাহুন্দর পর্য্যন্তের এক প্রকার সমালোচনা করিলাম ! ঐকালের মধ্যে আমাদিগের সমালোচিত কয়েকখানি ভিন্ন যে আর কোনগ্রন্থ রচিত হয়নাই, একথা কে বলিতে পারে ? অামরাই কয়েক খানি গ্রস্থের সন্ধান পাইয়াও অনাবশ্যকবোধে সমালোচনা করি নাই । তদ্ভিন্ন হয়ত অনেকমহাশয়রচিত অনেক গ্রন্থ বিলুপ্ত হইয়াগিয়াছে, অথবা বিদ্যমান থাকিতেও আমরা অনেকগ্রন্থের সন্ধান পাইনাই । যাহাহউক, মধ্যকালে ভাষার অবস্থা কিরূপ ছিল, তাহ যথাক্রমে সমালোচিত তত্তদ্বগ্রন্থের বিবরণেই একপ্রকার ব্যক্ত হইয়াছে। চৈতন্যভাগবত—কবিকঙ্কণ—মহাভারত ও কবিরঞ্জনবিদ্যাসুন্দরের ভাষা কিছু একরূপ নহে। উহা যে, ক্রমে ক্রমে মার্জিত, বিশদ ও অধিকসংস্কৃতশব্দগৰ্ভক হইয়াআসিতেছে, তাহ স্পষ্টরূপেই বুঝিতেপারাষায় । কিন্তু এস্থলে ইহাও বিবেচনা করিতেহইবে যে, ঐ সময়ের যে ভাষা আমাদের দৃষ্টিগোচর হইতেছে, তৎসমুদয়ই পদ্যময়। পদ্য দেখিয়া ভাষার অবস্থা সম্যকরূপে বোঝাযায়না; কারণ যে সকল কথা লোকে কথোপকথনে ব্যবহার করেনা, পদ্যমধ্যে তাদৃশ অনেক কথাও ব্যবহৃত হইয়াথাকে। অতএব ভাষারবিষয়ে বিবে: চনাকরিতেহইলে শুদ্ধ পদ্যগ্রন্থের উপর নির্ভর না করিয়া গদ্যগ্রন্থের প্রতিও দৃষ্টিপাতকর কর্তব্য । কিন্তু মধ্যকা