পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৬ বাঙ্গালী সাহিত্য। লের গদ্যগ্রন্থ আমরা একখানিও দেখিতে পাইনাই । শুনিতে পাওয়াযায়, ত্রিপুরার রাজাবলী ও রামরামবস্থর প্রশীত প্রতাপাদিত্যচরিত, এই দুইখানি গদ্যগ্রন্থ ঐকালের মধ্যে রচিত হইয়াছিল—কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে উহার একখানিও দেখিতেপাওয়াগেলনা—অনেক চেষ্টা করাগেল, কোনরূপে সুযোগ হইয়াউঠিলন । সুতরাং তদ্বিষয়ে কোন কথাই বলিতেপারাগেলন । তাহ না পারাযাউক, ইহা বেশ দেখা যাইতেছে যে, মধ্যকালেও গদ্যগ্রন্থ প্রায় হয়ই নাই। ভা ষার প্রতি দেশবাসী লোকদিগের যেরূপ আস্থা জন্মিলে এবং ভাষার যেরূপ অবস্থা দাড়াইলে গদ্যগ্রন্থে লোকের অনুরাগ জন্মে, মধ্যকালে তাহার কিছুই হয় নাই—হইলে ঐ কালের মধ্যে কেহ না কেহ অবশ্য বাঙ্গালার কোন ব্যাকরণ রচনা করিতেন—কিন্তু তাহ কেহই করেন নাই । কোন বাঙ্গালা অভিধানও একালের মধ্যে রচিত হয়নাই । সুতরাং এ ংশে আদ্যকাল ও মধ্যকালের কিছুমাত্র বৈলক্ষণ্য নাই। তবে এই কালের মধ্যে ছন্দের অনেক পারপাট্য হুইয়াছে—কিন্তু সে পারপাট্যও প্রথমে হয় নাই। কবিকঙ্কণের সময়ে কিছু হইয়াছিল বটে, কিন্তু মধ্যকালও ইদানীন্তন কালের যেসন্ধিস্থল—রামপ্রসাদের কাল—তাহাতেই উহার প্রচুরপরিমাণ লক্ষিতহইতেছে। রামপ্রসাদের রচনাতেও প্রাচীনকবিদিগের স্যায় মিলের দোষ দেখিতেপাওয়াযায়— যথা ময়ি = হই; কি =বী ; থো=পো ইত্যাদি । এই