পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> * বাঙ্গালা ভাষা | অনেকে কহিয়াথাকেন যে, সংস্কৃতভাষ বাঙ্গালার জননী—অর্থাৎ পূর্বোল্লিখিত ঐ সংস্কৃত হইতেই বাঙ্গালভাষা উৎপন্ন হইয়াছে। কিন্তু আমাদের তাহা বোধ হয় ন – বোধহয়ন৷ ” র অর্থ এই যে, বাঙ্গালা সাক্ষাৎ সম্বন্ধে ংস্কৃত হইতে উৎপন্ন নহে কিন্তু পরম্পরাসম্বন্ধে । সংস্কৃত গ্রন্থগণের মধ্যে বেদই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন বলিয়া পরিগণিত। বেদের সংস্কৃত দুরূহ, দুরুচ্চাৰ্য্য ও শ্রুতিকটু। শ্ৰুতিকটু ভাষা সাধারণের প্রীতিকর না হওয়াতে রামায়ণ, সংহিতা, মহাভারত, তন্ত্র, পুরাণ ও কাব্যাদি অপেক্ষাকৃত সুখোচ্চার্য্য ও সুকোমল ভাষায় ক্রমশঃ রচিত হইয়াছে। এমন কি পশ্চাদুল্লখিত গ্রন্থসকলের ভাষা ও বেদের ভাষা এরূপ বিভিন্ন যে, উহাকে যেন একভাষা বলিয়াই বোধ হয় না । এক্ষণকার প্রচলিত ব্যাকরণসকল ও প্রচলিত সাহিত্যশাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া বেদের ভাষাবোধে সম্যক অধিকারী হওয়াযায়না. প্রাচীন , পাণিনীয় ব্যাকরণে বেদভাষাবোধার্থ " বৈদিকপ্রক্রিয়া’ নামে একটা পৃথক প্রকরণ আছে; বর্তমানকালে বেদের অধ্যয়ন অধ্যাপনাদির, তাদৃশ চর্চা না থাকায় উহা সচরাচর অধীত হয় না এবং আধুনিক ব্যাকরণসমস্তে ঐ ভাগ একেবারেই পরিত্যক্ত হইয়াছে। মুগ্ধবোধকার বোপদেবগোস্বামী সৰ্ব্বশেষে একটা সূত্ৰ দিয়াছেন—

  • বহুলং ব্রহ্মণি ”