পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালী ভাষ; } ኧ Œ প্রাকৃতেও দ্বিবচনের প্রয়োগ নাই, কেবল একবচন ও বহুবচন। ইহার রচনাপ্রণালীও যে সহজতর, তাহ মহাকবি কালিদাস নিম্নলিখিত শ্লোকদ্বারা অঙ্গীকার করিয়া গিয়াছেন— t দ্বিধাপ্রযুক্তেন চ বাঙায়েন সরস্বতী তস্মিথুনং মুনাব । । সংস্কারপূতেন বরং বরেণ্যং ৰঘুং সুখগ্রান্থনিবন্ধমেন। কুমারসম্ভব ৭ম সৰ্গ । ‘সরস্বতী দুইপ্রকার পদাবলী দ্বার হরপার্বতীর স্তব আরম্ভ করিলেন । সংস্কৃত দ্বারা হরের এবং স্থখগ্রান্থনিবস্কন অর্থাৎ প্রাকৃতদ্বারা_পাৰ্ব্বতীর। ’ সে যাহাহউক, এক্ষণে আমাদের প্রকৃত বক্তব্য বিষয় এই যে, পূর্ববর্ণিতরূপ প্রাকৃতভাষাই বাঙ্গালার জননী ; সংস্কৃত উছার জননী নহেন–কিন্তু মাতামহী। পূর্বে উক্ত হইয়াছে যে, কঠিন ও দুশ্রব ভাষা জনসাধারণের ব্যবহার্য্য হইতে পারে না, এই জন্য সেই ভাষাগত সংযুক্ত শব্দ সকলের শিথিলতাসম্পাদন করায় ভাষার পরিবর্তন ঘটিয়া উঠে। ঐ শিথিলতাকরণ দুইপ্রকারে সম্পন্ন হয়—এক প্রকার সম্প্রসারণ, দ্বিতীয়প্রকার বিপ্রকর্ষণ, নদ্যাদি শব্দের সন্ধিচ্ছেদ করিয়া নদী আদি করাকে সম্প্রসারণ এবং ‘ধৰ্ম্ম’ শব্দের সংযুক্ত বর্ণের বিশ্লেষ করিয়া ‘ধরম’ করাকে বিপ্রকর্ষণ কহে । এই সম্প্রসারণ বিপ্রকর্ষণ প্রক্রিয়া দ্বারা দুরুচ্চাৰ্য্য ভাষার সুখোচ্চার্য্যত সম্পাদিত