পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদ্যকাল । 8\ව গিয়াছেন, তখন ওবিষয়ে আমাদের আর কিছুই বক্তব্য নাই । সে গীত এই— “স্বতন্থনিরখত, অতন্থ বরিখত, নয়ন অবিরত বরিখে” ৮ মদনমোছন তর্কালঙ্কার । ,

  • কাহে, সেই জীয়ত মরত কি বিধান ?

ব্রজকিশোর সোই, কাছ গেল ভাগই, ব্ৰজজন টুটায়ল পরাণ। ” শ্ৰীবঙ্কিমচন্দ্র । তবে এতাবত এরূপু ট্রদ্ধান্ত করাযাইতেছে না যে, আমরা যাহাকে আদ্যকালে 論 বলিতেছি তখন যেরূপ বাঙ্গালা-ছিল, এখনও অবিকল সেইরূপ বাঙ্গালাই আছে । তাহা কখনও হইতে পারে না। যেমন আকরোথিত অসংস্কৃত বস্তুর গাত্র নিরীক্ষণকরিলে তাহাতে তদাকরিক অন্যান্থা দ্রব্যের সংযোগ লক্ষিত হয়, সেইরূপ আদ্যকালের বাঙ্গালাতে তদাকরীভূত সংস্কৃত বা প্রাকৃতের অধিকসংস্রব লক্ষিতহইবে, তাহ যুক্তিসঙ্গতই বটে। এইজন্যই পুচ্ছসি দহসি, করই হসই, বোলে, ইত্যাদি সংস্কৃত বা প্রাকৃত ক্রিয়ার যোগ প্রাচীন বাঙ্গালায় অনেক দেখাযায় । ঐ সকল ক্রিয়া বোধহয় ব্রজভাষার নহে । বাঙ্গালাভাষায় এক্ষণে যেরূপ শুদ্ধ সংস্কৃত শব্দ ব্যব। হৃত হইতেছে, আমাদিগের অবলম্বিত আদ্যকালের বাঙ্গালাতেও রজনীপ্রভাত, মৃগমদসার, নবজলধর, বন্দী, ধরণী, গুরুজন, মধুমামিনী, পুলক ইত্যাদি সংস্কৃত শব্দ