পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৫৫

Sや বাঙ্গালী সাহিত্য । অৰ্দ্ধেই ষষ্ঠ দ্বাদশ ও বিংশ অক্ষরে যতি এবং ৬ষ্ঠ ও ১২শ বর্ণে পয়ারের ন্যায় মিল। এই ত্রিপদীকে লঘূত্রিপদী কহে—এতদ্ভিন্ন অন্যবিধ ত্রিপদীও আছে। এই পয়ার ও ত্রিপদীর শেষবৰ্ণে মিলন থাকাতে ইহাকে মিত্রাক্ষর ছন্দ কহে । - এক্ষণে যেরূপ অক্ষরগণনার নিয়মানুসারে বিশুদ্ধ পয়ার ও ত্রিপদী রচিত হইতেছে, আদ্যকবির সেরূপ নিয়মের বশবৰ্ত্তী ছিলেন না। পর্বে উক্ত হইয়াছে তাহদের পদ্যসকল সঙ্গীতময়—সুতরাং সঙ্গীতের স্বরের অনুরোধে, যেখানে আবশ্যকবোধ করিয়াছেন সেইখানেই,তাহার যতি দিয়াছেন—তাহাতে কোনস্থলে অক্ষর অনেক বাড়িয়া গিয়াছে, কোনস্থলে বা কমিয়াপড়িয়াছে তদ্ভিন্ন তাহার বর্ণের মিলনবিষয়েও তত সাবধান ছিলেন না। যে সকল বর্ণের উচ্চারণ কৰ্ণে প্রায় একবিধ বলিয়াই বোধহয়, তাহারা তাদৃশ বর্ণেরও অর্থাৎ বর্গের ১ম ও ২য় বর্ণের এবং ৩য় ও ৪র্থ বর্ণের—যথা ক ও খ এর, ত ও থ এর, গ ও ঘ এর এবং ব ও ভ এর মিল রাথিয়াগিয়াছেন । ফলতঃ তাহারা ওবিষয়ের একপ্রকার স্থষ্টিকৰ্ত্তা, তাহাদিগকে কাহারও শৃঙ্খলে বদ্ধ হইতেহয় নাই, তাহাদিগের স্বস্ট শৃঙ্খলাই মেরামত করিয়া আমরা পরিতেছি । এক্ষণে দেখ। তাল*্যক যে, তাহারা কি উপাদান ও কি উপকরণ লইয়া সে শুঙ্খলার সৃষ্টি করিয়াছেন অর্থাৎ পয়ার