পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৫৯

6 o' বাঙ্গাল সাহিত্য । কারণ জয়দেব বাঙ্গালাদেশের বীরভূমপ্রদেশে প্রাদুস্কৃত হইয়াছিলেন–র্তাহার গীতগোবিন্দ অতি কোমল, ললিতু ও মধুরভাষায় বিরচিত—তজ্জম্বাই লোকের মন বিলক্ষণ আবর্জিতহয়—বিশেষতঃ উহ! পরমারাধ্য রাধাকৃষ্ণের লীলাবর্ধন-সংক্রান্ত সঙ্গীতময় হওয়ায় এবং উক্ত সঙ্গীতের অন্ততমে “দেহি পদপল্লব মুদারং” এই অংশটা স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণকর্তৃক লিখিতহওয়ার প্রসিদ্ধি থাকায়, উক্তগ্রন্থ ভাগবত্তদিগের পরম শ্রদ্ধাস্পদ হইয়াছিল । সুতরাং অাদ্য কবির বাঙ্গণলায় উক্তরূপ গীতবিরচনে প্রবৃত্ত হইয়। স্বদেশসস্তৃত তাদৃশ শ্রদ্ধাস্পদ গ্রন্থকে আদর্শ করিয়া স্বকীয় গীতের ছন্দোরচনা করিবেন, ইহা যুক্তিবহির্ভূত নহে। কিন্তু এ কথা পূর্বেই বলাহইয়াছে যে, আধুনিক পয়ার ত্রিপদীতে অক্ষরগণনার যেরূপ কাকসি হুইয়াছে—পূর্বে তাহ ছিলন । আদ্য কবিরা বোধহয় প্রথমে মাত্রানুসারেই উক্তরূপ পদ্যের রচনা कद्विाऊ श्रुद्भिन्नु कब्रिग्नांझिएञब--दऊिछ् शममच्छू झेठांनि পদ্য মাত্রাগণনানুসারেও প্রায় ঠিকই হয় । কিন্তু বাঙ্গালতে মাত্রাগণমার রীতি রক্ষাকরা তাদৃশ সুবিধাজনক হয়না, দেখিয়া ভৱিষয়ে তাহার ক্রমশঃ শিথিলাদর হয়েন এবং স্বরের অনুরোধে আবশ্বকমত বিরাম দিয়া যান। অক্ষর গণনার রীতি কালক্রমে আপনাআপনি হইয় পড়িয়ছে । তাছার তদ্বিষয়ের কোন নিয়মপদ্ধতি করিয়া ষান নাই এবং তাসুস্বারে চলেনও নাই । -