পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যকাল-চৈতন্যদেব । (5) অকৃত্রিম পরমানন্দে মগ্রহইয়া নৰ্ত্তন এবং হরিনামোচ্চারণমত্রেই রোমাঞ্চ অশ্রুপাতাদি সাত্ত্বিকভাবের আবির্ভাব অবলোকন করিয়া তাহাদিগের ঐ বোধ আরও বদ্ধমূল হইয়াছিল। বিশেষতঃ র্তাহার উদ্ভাবিত ধৰ্ম্ম শ্ৰীমদ্ভাগবত, ভগবদগীতাদি সাধারণের শ্রদ্ধাস্পদ গ্রন্থসকল হইতেই উদ্ধত বচনপরম্পরাস্বারা সপ্রমাণ করাহইত—উহার অনুষ্ঠানপ্রণালী প্রচলিত-ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠানপ্রণালী অপেক্ষা অনেক সহজ-কিহিন্দু, কিমুসলমান কাহাকেও উহা অবলম্বন করাইতে বাধা ছিলনা—এবং তিনি নিতান্ত দুঃশীলের স্থশীলতাসম্পাদন, কুষ্ঠীর কুষ্ঠবিমোচন প্রভৃতি কতকগুলি আশ্চর্ষ্য আশ্চৰ্য্য কাৰ্য্যসম্পাদন করিয়াছেন, এরূপ প্রবাদ দেশমধ্যে প্রচারিত হইয়াছিল, সুতরাং অচিরকালমধ্যেই তাহার শিষ্য অসঙ্খ্য হইয়া উঠিল । সন্যাস আশ্রম অবলম্বনের পর তিনি শিষ্যগণ সমভিব্যাহারে বারাণসী, প্রয়াগ, বৃন্দাবন, মথুরা, জগন্নাথক্ষেত্র, সেতুবন্ধ প্রভৃতি নানাদেশ পর্য্যটন, এবং তদ্ভদেশীয় পণ্ডিতদিগের সহিত বিচার করিয়া স্বমত সংস্থাপনকরেন । ঐ সময়ে শিষ্যগণ র্তাহাকে শ্ৰীকৃষ্ণের অবতার বলিয়া সর্বত্র প্রচারকরিত, সুতরাং তিনি যেখানে যেখানে যাইতেন, সেইখনেই শিষ্যসস্থ্যাবৃদ্ধি হইত। তাহার শিষ্যগণের মধ্যে অনেকে মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত ছিলেন । র্তাহারাই বৃন্দাবনের লুপ্ত তীর্থ সকলের পুনরুদ্ধার করেন এবং তদীয় লীলাবর্ণন