পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যকাল-চৈতন্যদেব । 6 6: সময় হইতেই বাঙ্গালার গ্রন্থরচনা আরব্ধ হয় । ইহাও একপ্রকার উল্লিখিত হইয়াছে যে, আদ্যকালের পণ্ডিতদিগের চিত্তভূমিতে যে কিছুমূতনভাব অন্ধরিত হইত, তাহার্তাহার পণ্ডিতসমাজেরই প্রদর্শনার্থ সংস্কৃতক্ষেত্রে রোপণ করিতেন —জনসাধারণকে দেখাইবার প্রয়োজনবোধ করিতেন না । কিন্তু চৈতন্যশিষ্যদিগের সেরূপ ভাব ছিল না । তাহাদিগের ধৰ্ম্ম আপামর সাধারণ সকলেরই আশ্রয়শীয়; অতএব তাহারা খৃষ্টীয় মিসনরিদিগের স্বায় তৎপ্রচারার্থ দেশ বিদেশে ভ্রমণ করিয়া সর্ববিধ লোকের চিত্তাকর্ষণের চেষ্টা করিয়াছিলেন ; সুতরাং তঁাহার স্বাবলম্বিত ধৰ্ম্মপ্রণালীসকল কেবল পণ্ডিতজনগম্য সংস্কৃতে নিবদ্ধ না করিয়া সাধারণের বোধার্থ চলিতভাষা বাঙ্গালায় গ্রন্থাকারে লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। অতএব ঐ সময়কে বাঙ্গালাগ্রন্থপ্রণয়নের আদিকাল বলা অসঙ্গত হয় না । তাহাদিগের ঐ সকল গ্রন্থকেই আদর্শ করিয়া কৃত্তিবাস কবিকঙ্কণ প্রভৃতি কবিগণ লেখনীচালনা করিয়াছিলেন। অতএব দেখাযাইতেছে যে, বৈষ্ণবসম্প্রদায় হইতেই বাঙ্গালাকাব্যের উৎপত্তি ও উন্নতি হইয়াছে । শাক্ত ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের পরস্পরবিবুদিসংক্রান্ত ষে সকল গল্প আছে, তাহাতে বীরধৰ্ম্মী শাক্তাদিগের জয় ও পশুবৎ নিরীহশ্বভাব বৈষ্ণবদিগের পরাজয়ের কথাই বর্ণিত হয়, তচ্ছ বণে শাক্তেরা সহাস্যমুখ ও বৈষ্ণবের স্নানকান্তি হইয়াথাকেন। কিন্তু