পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৬৭

Qb- বাঙ্গালী সাহিত্য । য়াছেন, সেই ধন পাইবার জম্বা সাতিশয় ব্যগ্রতাপ্রদর্শন করিতে লাগিলেন। সনাতন, ব্রাহ্মণকে লোভনিমুক্ত রোধ না করিয়া প্রথমে দিতে স্বীকার করিলেন না। পরে ব্রাহ্মণ সেই হস্তগত স্পর্শমণি (যাহার স্পর্শে সকল ধাতুই স্বর্ণ হয়) যমুনার জলে নিক্ষেপ করিয়া আপনার নিষ্প হত প্রদর্শন করিলে পর, সনাতন তাহাকে কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষিত করিয়া পরম ভাগবত করিয়া তুলিলেন। অনন্তর জীবগোস্বামী কৃঞ্চবিষয়ক মান সংস্কতগ্রস্থ রচনাকরেন । কিন্তু চৈতন্য তন্মধ্যে র্তাহার বাঙ্গলা করচার নামোল্লেখ করেন নাই। আমরাও নানাস্থানে অনুসন্ধান করিয়া ও কোথাও জীবগোস্বামীর করচ প্রাপ্তহই নাই । বোধহয় তাহ বিরলপ্রচার হইয়াছে। র্তাহার বংশীয়ের এক্ষণে কাঠুরা মাড় গায় বসতি করেন, তঁহাদের বাটীতে উহ আছে কিনা, বলিতে পারা যায় না। আমাদের কোন বন্ধু ‘জীবগোস্বামীর করচ, বলিয়া যে একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক আমাদিগকে দিয়াছেন, তাহ অতি অকিঞ্চিৎকর । এমনকি, সমালোচনার যোগ্য বলিয়াই বোধহয় না। তবে অনেকে জীবগোস্বামীর করচাকেই বাঙ্গালার প্রথম রচনা বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন, এই জন্যই আমরা সংক্ষেপে তাহার বিবরণ লিখিতে প্রবৃত্ত হইলাম। এই পুস্তকখানি অতিক্ষুদ্র; ইহাতে রূপ, বৃন্দাবনে গমন করিলে পর কিরূপে সনাতন স্বপ্রভু হোসেনসার কারাগার