পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৭০

মধ্যকাল—চৈতন্যভাগবত । や;> যাহাহউক, চরিতামৃতকার বৃন্দাবনরচিত চৈতন্যমঙ্গরের ভূরি ভূরি প্রশংসা ও ভূয়োভূয়ঃ নামোল্লেখ করিয়াছেন, কিন্তু চৈতন্যভাগবতের বিষয়ে কোনস্থলে কিছুমাত্র উল্লেখ লাম যে, বৃন্দাবনদাসবিরচিত চৈতন্যমঙ্গলনামে কোন গ্রন্থ বিদ্যমান নাই—লোচনদাসবিরচিত এক চৈতন্যমঙ্গল আছে। বৃন্দাবনের চৈতন্যভাগবতভিন্ন আর কোন গ্রন্থ নাই এবং চরিতামৃতকার যে যে বিষয়ের সবিস্তার বর্ণন জানিবার জন্য চৈতন্যমঙ্গলের উপর বরাত দিয়াছেন, তাহ চৈতন্যভাগবতেই বর্ণিত আছে—অতএব আমাদের বোধহয় চরিতামৃতকারোল্লিখিত চৈতন্যমঙ্গল চৈতন্যভাগবত ভিন্ন আর কিছুই নহে। তবে যে নামে ঐ গ্রন্থ এক্ষণে প্রসিদ্ধ, তাহা ত্যাগকরিয়া চরিতামৃতকার কিজন্য অপর নাম দ্বারা উহার উল্লেখ করিয়াছেন, তদ্বিষয়ে আমাদের এই অনুমান হয় যে, গ্রন্থকার নিজমুখে কোন স্থলে ঐ গ্রন্থের কোন নামকরণ করেন নাই, কেবল মুদ্রিত পুস্তকের নির্দেশপত্রে মুদ্রাকারের “চৈতন্য ভাগবত ” বলিয়া নাম নির্দেশ করিয়াছেন, এবং আদিখণ্ডের শেষে “ ইতি শ্রীচৈতন্যভাগবতে আদিখণ্ডং সম্পূর্ণ ” এইমাত্র উল্লেখ আছে। অতএব এমনও হইতে পারে যে, পূর্বে ঐ গ্রন্থকে কেহ চৈতন্যভাগবত কেহবা চৈতন্যমঙ্গল কছিত—কালক্রমে দ্বিতীয় নাম বিলুপ্ত হইয়া প্রথম নামটাই রহিয়া