পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যকাল-চৈতন্যচরিতামৃত । ఆన বিলুমঙ্গল, লঘুভাগবতামৃত, কৃষ্ণসন্দর্ভ, ভক্তিরসাম্তসিন্ধু, দানকেলিকৌমুদী, স্তবমালা, উজ্জ্বলনীলমণি প্রভৃতি বহুবিধ গ্রন্থ হইতে ভূরি ভূরি বচন উদ্ধত করিয়া প্রমাণস্থলে প্রয়োগ করিয়াছেন এবং অনেকস্থলে ঐ সকল শ্লোকের বাঙ্গালাপদ্যে অর্থ করিয়াদিয়াছেন । চৈতন্থের অবতারবিষয়ে কোন পুরাণে বর্ণনা নাই, এজন্য অনেকে চৈতন্যের প্রতি শ্রদ্ধা করেননা, এইদেখিয়া তিনি ভাগবতের কৃষ্ণবিন্নয়ক কতিপয় শ্লোককে পরম কৌশলসহকারে চৈতন্যবিষয়ক করিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন । চরিতামৃত বৈষ্ণবদিগের ধৰ্ম্মসংক্রান্ত গ্রন্থ ; অতএব ইহার বৃত্তান্তগুলি যাহাতে সাধারণের বোধগম্য হয়—সত্যবোধে যাহাতে তাহার প্রতি শ্রদ্ধা জন্মে, গ্রন্থকার তজ্জন্য যেরূপ চেষ্টা করিয়াছিলেন, কবিত্বশক্তিপ্রকাশের জন্য সেরূপ চেষ্টা করেননাই। র্তাহার রচনা পদ্যময় এইমাত্র— রামায়ণ, মহাভারতাদির গ্রন্থকারের ধৰ্ম্মকথার সহিত যেরূপ চমৎকার কবিত্ব প্রখ্যাপন করিয়াছিলেন, ইনি তাহার কিছুই করেননাই । ইনি কথায় কথায় যদি অত অধিক সংস্কৃতবচন উদ্ধত না করিতেন, তাহাহইলে ইহঁর গ্রন্থ বোধহয় অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট হইত। অধিক বচন উদ্ধত করায়, পাঠমাত্র গ্রন্থের সমুদয়বৃত্তান্ত স্পষ্টরূপে হৃদয়ঙ্গম হয় না । বোধহয় গ্রন্থের পারিপাট্যসম্পাদন করা গ্রন্থকারের উদ্দেশ্য ছিলনা—প্রমাণ প্রয়োগদ্বারা চৈতন্য