পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br 。 বাঙ্গীলা সাহিত্য । যদি এতাবৎ বৃহদ ব্যাপার সম্পাদন করিয়াথাকেন, ইহাতে র্তাহার গৌরবের বৃদ্ধি বৈ হ্রাস নাই। তিনি যৎকালে প্রাচুভূত হইয়াছিলেন, তৎকালে এরূপ ছন্দোবদ্ধ কাব্য অধিক ছিলনা। সুতরাং তিনি অস্যের অনুকৃতি অধিক করিতে পান নাই;–র্তাহার রচনা নিজনৈসর্গিকশক্তিসম্ভূত। ভারতচন্দ্র ইদানীন্তনকালে মালিনীর বেসাতি পরিচয়দানস্থলে যেরূপ শব্দচাতুর্য্য প্রকাশকরিয়াছেন, কৃত্তিবাস তত প্রাচীনসময়েও মধ্যে মধ্যে সেরূপ করিয়া গিয়াছেন। ভর দ্বাজাগ্রমে বানরদিগের ভোজনসময়ে তিনি লিখিয়াছেন— অল্পের কি কব কথ। কোমল মধুর। খাইলে মনেতে হয় কি রস-মধুর । কি মনোরঞ্জন সে ব্যঞ্জন নানাবিধ। চৰ্ব্ব চুষ্য লেহ্যপেয় ভক্ষ্য চতুবিধ ॥ যথেষ্ট মিষ্টান্ন সে প্রচুর মতিচুর। যাহ। নিরখিবামাত্র হয় মতি চুর ॥ নিখুঁতি নিখুতি মণ্ড আর রসকরা। দৃষ্টিমাত্র মনোহরণ দিব্য মনো হর ॥ ইত্যাদি । অঙ্গদরায়বারেও তিনি সামান্য পরিহাসরসিকতা প্রকাশকরেন নাই । অঙ্গদ রাবণসভায় উপস্থিত হইলে তাহাকে অপ্রতিভ করিবার জন্য রাক্ষসীমায়ায় সভাশুদ্ধ সমস্ত লোকেই রাবণরূপ ধারণকরিল, কেবল ইন্দ্রজিৎ পিতৃরূপ ধারণকরা অনুচিত, বিবেচনাকরিয়া নিজরূপেই রহিলেন, ইহ দেখিয়া অঙ্গদ ক্রোধ ও পরিহাসসহকারে, তাহারেই সম্বোধন করিয়া জিজ্ঞাসা করিতেছেন— অঙ্গদ বলে সত্যকরে কওরে ইন্দ্ৰজিত । এই যত বসে আছে সবাই কি তোর পিতা । ধন্য রাণী মন্দোদরী ধন্য তোর মাকে । এক যুবতী এত পতি ভাব কেমনে রাখে। কোন বাপ তোর চেড়ীর