পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যকাল- কৃত্তিবাস-রামায়ণ । trసి বহুল বৈষম্য দৃষ্টহুইয়াথাকে। ফলতঃ তিনি যে উদ্দেশে ঐ গ্রন্থের প্রণয়ন করেন, তাহ সম্যকৃরূপে সিদ্ধ হইয়াছে। শত সহস্ৰ লোকে চামরমন্দিরাসহযোগে রামায়ণগান করিয়া জীবিকানিৰ্বাহ করিতেছে । আধুনিক কত রামযাত্রার পাল ঐ রামায়ণকে অবলম্বন করিয়াই প্রণীত হইয়াছে । দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই যে, রামায়ণের উপাখ্যান কহিতেপারে, ভাষারামায়ণই তাহার মূল কারণ । যাহার কিছুমাত্র অক্ষরপরিচয় আছে সেই, রামায়ণ পাঠকরিতে প্রবৃত্ত হয় । সামান্য দোকানদারেরাও ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যে মধ্যে অবকাশ পাইলেই তারস্বরে রামায়ণপাঠ করিয়াথাকে । এরূপ সৌভাগ্য সকল কবির ভাগ্যে ঘটিয়া উঠে না। রামায়ণের ভাষা আদ্যোপান্ত সুমধুর ও ব্যাকরণামুসারে সর্বতোভাবে পরিশুদ্ধ না হউক, সকলস্থলেই যে, কবির মনোগতভাবের প্রকাশক, তদ্বিষয়ে সংশয়নাই । ভাযার দুরূহতা বা জটিলতা দোষে ভাবগ্ৰহ করিতে পারাযায় না—সমস্ত রামায়ণের মধ্যে এরূপ স্থল অতি বিরল । ইহঁর পূর্ব ও পরবর্তী অনেক কবির রচনায় এরূপগুণ লক্ষিতহয়না। ভাষারামায়ণে পয়ার ও ত্রিপদীভিন্ন অন্য ছন্দ প্রায় নাই। তরে কলিকাতামুদ্রিত একখানি পুস্তকে অকম্পনের যুদ্ধের পর, বজ্ৰদংষ্ট্রের যুদ্ধস্থলে ‘ নর্তকছন্দ ’ নামে একটা নূতন ছন্দ দেখিতে পাওয়াযায়; কিন্তু কলিকাতামুদ্রিত অপরাপর পুস্তকে ও শ্রীরামপুরমুদ্রিত পুস্তকে ঐ প্রস্তাবট Y -