পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مو و . , খাম্বাজ—জলদ তেতাল।। ওই দেখ সই, নাথ তোমার আছে দাড়াইয়ে। যাহার কারণ, কিবা রাত্রি দিন, দহিতে দেখ না আসিয়ে ॥ কই কই বলে ধনি, বাহির হইল শুনি, প্রফুল্ল বদন, হরষিত মন, অনিমিখে রহিল চাহিয়ে ॥ খাম্বাজ—আড়াঠেকা । পূজিব পিরীতি প্রেম,প্রতিমা করে নিৰ্ম্মাণ । অলঙ্কার দিব তাহে, যত আছে অপমন ॥ .যীবনে সাজায়ে ডালি, * কলঙ্ক পুরি অঞ্জলি, বচ্ছেদ তায় দিব বলি, দক্ষিণা করিব এ প্রাণ ॥ বিঝিট—অtড়াঠেকা । | আমার নয়ন লয়ে হেরে যদি তারে। মমাধিক মুখী হতে অবশ্ব সে পারে ॥ সবে বলে নহে ভাল, সেই সে আমার ভাল, সে মুখ হেরিলে দুঃখ যায় দূরে । ঝিঝিট—কাওয়ালী। শুন লো সই, এখন কহিলে কি হবে । శాస్క్టా করেছি যে কাজ, তাহার উপায় কি হবে । । বটে লো বিরহানলে জলয়ে পরাণ, দুঃখ ত্যজিবারে মন হয় লে কখন, | হেরি দুখ যার সুখ কে জনে ভুলবে। লাজ ভয় সব যায়, প্রথম মিলনে, মিলিলে পিরীত হয় কত খেদ মনে, ইথে যদি নাহি চেত তুমি কি করিবে । সিন্ধু—জলদ তেতাল।। আমি দুখী হলে যদি, তুমি সুখী হও। তথাপি আমা হইতে, সুখের উদয়। দুখের উপরে মুখ, যার দুঃখ তার মুখ, একে দুঃখী আরে মুখী, কেমনে বুঝায়ে ॥ • পাঠাগুরে—‘গঙ্গনার করি ডালি।” বাঙ্গালীর গান । ঝিঝিট—কাওয়ালী। সদা মুখে থাক হে প্রাণ আমার বাসনা। আমার কারণে তুমি, ভাবনা ভেবো ন ॥ তোমার কি ক্ষতি আমি পাইলে যাতনা বুঝিলে আমার দুঃখ কখন হ’তো না। ভৈরবী—জলদ তেতালা । গোসা করোনা প্রাণ আমার কি দোষ । গুরুজন ভয়ে মরি, তুমি কর রোষ ॥ পরাণ কাতর হয়, দেখিলে বিরস । তুমি ইহা নাহি বুঝ, খেদ হে অশেষ ॥ খাম্বা জ—তেতাল । বিরহেতে মরি হে বিধি, অনুকূল হইও । পঞ্চভূত পঞ্চস্থানে নিযুক্ত করিও । যে আকাশে বাস তার, আকাশের ভাগ মোর, এবে সে এই বাসন, তাহাতে মিলায়ো ॥ পবন তার ব্যঞ্জনে, তেজ মিশুক দর্পণে, . জলে সেই জলে রেখে তার ব্যবহারিয়ে ॥ পদ বিরহণ যথা, পৃথ্বী-অংশ রেখে তথ, ইহার অধিক আর যে হয় বুঝিও ॥ খাম্বাজ --জলপ তেত্তলা । অতি সাধ ছিল হে প্রাণ, আমার হইবে। কে জানে চাতুরী করি, সতত জ্বালাবে। আগে কি জানিব আমি, এমন করিবে । আমার হৃদয়ে থাকি, আমারে ভুলবে। খাম্বাজ—জলদ-তেত্তালা । মান-তাপে তাপিত প্রাণ, fছলাম হে নাথ । সমাদর কে করিবে, কুসঙ্গে মোহিত ॥ মান ভরে কে কাহারে, আদর করিত। ইথে মন ভার এত, করা কি উচিত। ধাস্বাজ-জ লদ-ততালা । জানিলাম প্রেম প্রিয় আমায় যেমন। তোমার হে হয় তারে, কর সদা জ্বালাতন ॥ নীর হুতাশনে তব, আছে দুই গুণ। আমি হুতাশনে জ্বলি, জল কোথায় এখন।