বাবেীয়া—সুংরী •
পিরীতের দুখ ভ্রম জ্ঞান মুখময় । যাহার যেমম মন, তাহার ফল তেমন,
হয় হে উদয়৷ প্রেম করি দুই জ্ঞান, থাকে যতদিন, কখন সমূহ সুখী, কখন স্ব-নি, এক জ্ঞান হলে চিত, তুর্থ হয় কদাচিত
সুখ অতিশয় ॥
ঝিঝিট-আড়াঠেকা । মানেতে মনকে মিছে, দহন করিছ ( প্রাণ )। না দেখে কমলমুখী, অলির কমল আঁখি, কমল জীবন মন, তাহা তো শুনেছ ( প্রাণ) | যাহার যেবা স্বভাব, তার কি হয় অভাব,
বৃথায় ভাবিছ । অন্য অন্ত ফুলগণ বলয়ে অলি রাজন, . সে অলি কমলাধীন, তুমি ত জেনেছ (প্রাণ)।
க
বেহাগ-জগদ-তেতাল ।
অনেক দিবস পর মিলন হুইল। বিরহ-বিষ-অনল, ছিল অধিক প্রবল, তাহা যে শীতল হবে মনেতে না ছিল ৷ মিলন আশয়ে প্রাণ, ছিল যেঞি তেই প্রাণ,
তোমারে পাইল। কত মুখ হলো লাভ, কথায় কত কহিব, আনন্দসাগরে মন, নয়ন সজল ॥
বেহাগ—জলদতেভাগ । J
তারে বারণ কর সই, আসিতে এখানে
এমন সময় । যদি কোন জন, কহে কুবচন, জ্বলিবে জ্বলিব তায় ॥ উভয়ের ভয় যায়, সে সময় আদিতে হয়, আমার এমত হউক সন্মত,
ভয়েরো কি থাকে ভয় ॥
বাঙ্গালীর গান ৷
বেহাগ—জলদতেতাল।। সখি কোথা পাব তারে, যারে প্রাণ সঁপিলেম । যাহার কারণে আমি, কলঙ্কা হইলেম | পরাণ কেমন করে, রহিতে না পারি স্বরে, সুখ-আশে দুখ-নীরে, এবে যে ডুবিলেম। আগেতে না জানি এত, এমন করিবে নাথ, জানিলে কি করি প্রীত, না জেনে মজিলেম।
ஆறன்கம்ா
বেহাগ—জলদ-তেতাল । অধীনী জনে প্রাণনাথ, নিদয় হয়ে,
ছিলে হে কেমনে । ও বিধুবদন না হেরিয়ে প্রাণ,
জ্বলিত জীবন সম্বনে ॥ শয়ন স্বপনে প্রাণ, কখন কি চিতে; অধীন বলিয়ে মনে, নাহি কি করিতে ॥ একাকিনী নারী, খাকে কেমন করি,
নিবারি দুরন্তু মদনে ॥ এতদিন পর মোরে পড়েছে মনে, তেঞি প্রাণনাথ বুঝি এসেছ এখানে, ছিল হে জীবন, শুভ দরশন,
হইল নাথ তব সনে ॥
ধিঝিট—অাড়াঠেকা । পিরীতি কখন পারে কি প্রাণ করিতে গোপন।
মুদিত কমল, দেখিলে কেবল,
যখন উদয় অরুণ ॥ তিমির আলয় দীপ, দেখায় দেখ কিরূপ, তিমির কখন, উজ্জ্বলে বারণ,
করয়ে কে জান, বলনা এখন ॥
বেহাগ—জলপ-তেভালা । সে জানে না, আমার মন, যেমন তার তরে।
জানিয়ে বুঝন কেন, বিচ্ছেদের হুতাশন, দহন করিবে মোরে ॥
তারে জেনে এই হলো, নয়ন সদা সজল,
কহিব করে। বারে কর সেই জন, সুখ-দুঃখের কারণ, সে বিনে সুখী কে করে।
পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/১৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
