পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেওeজ্ঞান মহাশঙ্কা । سحابہ ہم تمہـیــــ বদমান কালনার সন্নিকট চুপী গ্রামে ১১৫৭ সালে রঘুনাথ রায় জন্মগ্রহণ করেন । ইহার পিতার নাম প্রজকিশোর রায়। ব্রজকিশোরের দুই বিবাহ। প্রথম পক্ষের তিন পুত্র ; তন্মধ্যে রঘুনাথ মধাম । ব্রজকিশোর বদ্ধমানাধিপতি মহারাজ কীৰ্ত্তিচন্দ্রের দেওয়ান ছিলেন। চুপীর রায় ব শ বদমান রাজবাটতে বহুকাল হইতে ব শপরম্পরাক্রমে এই দেওয়ানী কাৰ্য্য করিয়া আসিতেছিলেন। ব্রজকিশোবেব মৃত্যুর পর, রঘুনাথ সেই দেওয়ানীপদ প্রাপ্ত হন। ইনি বৰ্দ্ধমানে দেওয়ান মহাশয় নামে প্রসিদ্ধিলাভ করেন। সেই হইতে “দেওয়ান মহাশয়” নামেই তিনি পরি িত । বৰ্দ্ধমানে থিতার নিকট থাকিয়া ব্যুনাথ সংস্কৃত ও পারস্য ভাষা শিক্ষা করেন এবং অল্প দিনের মধ্যেই উভয় ভাষাতে তিনি বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করেন। বাল্যকাল হইতেই সঙ্গীত-বচনায় এবং পরমার্থ চিন্তায় বর্ধনাথের বিশেয আসক্তি দেখা যাইত। তিনি যখন দেওয়ান পদ প্রাপ্ত হন, তখন মহারাজ তেজশ্চন্দ্ৰ বৰ্দ্ধমানের অধিপতি। সঙ্গীতে দেওয়ান মহাশয়ের বিশেষ অনুরাগ দেখিয়া, মহাবাজ দিল্লী ও গঞ্জেী হইতে ওস্তাদ আনাইয় তাহার সঙ্গীত শিক্ষার রীতিমত বন্দোবস্ত কবিয়া দেন । দেওয়ান মহাশয় প্রতিদিন অল্পক্ষণই দেওয়ানীকার্যে মনোনিবেশ করিতেন। তাহাব অধি কাশ সময়ই সঙ্গীতচর্চায় ও ধৰ্ম্মকার্য্যে অতিবাহিত হইত। তিনি অনেক সাঙ্গীত রচনা করিয়া গিয়াছেন। তবে তাহার রচিত সমস্ত সঙ্গীতই দেবদেবী-বিষয়ক, অন্ত সঙ্গীত একটিও তিনি রচনা করেন নাই। ভণিত-স্বরূপ এই অকিঞ্চন” কথাটি তাহার প্রায় প্রত্যেক গানেই দেখিতে পাওয়া যায়। এইরূপ প্রবাদ আছে,--রঘুনাথ প্রত্যহ প্রাতঃকালে কালীবিষয়ক একটি গান রচনা না করিয়া জলগ্ৰহণ করিতেন না। তাহার রচিত কৃষ্ণবিষয়ক গানও অনেক আছে। ১২৪৩ সালের ১৯এ ভাদ্র ৮৬ বৎসর বয়সে দেওয়ান মহাশয় পরলোকে গমন করেন । ாயகாம் ঝিলিট—আড়াঠেকা । বেহাগ—একতালা । হে ভগবত সতি –প্রজাপতি-দুহিতে! কিরূপ অনুপমা মা মহেশমনোমোহিনী । কোট উডুপতি যিনি, শ্ৰীমুখের জ্যোতিঃ । কলঙ্গরহিত পরিণত শতবিধু-নিদিত বদনী। গুণাতীত গুণবতী প্রধান শকতি । যেরূপ কিরণে হয় হীরকাদি রত্ন ভূষণে ভূষণী ; ওমা! আমি জড়মতি, কিবা জানি স্তুতি, মঞ্জীর চরণে বাজে রুণ ঝুনু, মণি মুকুতা গাঁথনি। গতিহীন অকিঞ্চনে, তুমি মাত্র গতি ॥ | দশকরা বিবিধাস্ত্রধর, সদলে দনুজবিনাশকরা পদভরে কাপে ধরা, দেবদেবী দেয় জয়ধ্বনি,— আদ্যাশক্তি তুমি ভাবতি, কে জানে মতবস্তুতি, {} ষোগিয়া-তেতালা । মহিষমৰ্দ্দিনী রূপে ভুবন করে উজ্জ্বল। অকৃতি কুমতি অকিঞ্চন প্রতি, প্রসাদ বিশ্বজননি। অমল কমলদল, নিন্দিত চরণ-তল, கம் -து শকুকিরনদুপঞ্জী' aa:, রতন নূপুর সাজে, কটিতটে কিঙ্কিণীবাজে, অম্বর করেছে আলো নেচে এলো চিকুরে। বিরাজে যোগিনীমাঝে করি কুতুহল – বয়সে বালা ষোড়শী, মুখে মৃদু মৃদু হাসি, ' মৃদুহাস মৃধাভাষ মুরনর ত্রাস-নাশ, উদয় হয়েছে শশী, আসি পদ-নখরে । এই অকিঞ্চন-আশদেহি শ্ৰীচরণে স্থল। বামকরে অসি ধরি, রণমাঝে দিগম্বর, e0-w wo ' নাচে অমর সংহারী, মগ্ন হয়ে রুধিরে ॥