১৪৬
ললিত —আড়া ।
কি কুহক তারা তোমার, ' ত্ৰিলোকে কেহ না জানে। বলে ক্ষিপ্ত লোকে তারে, যে থাকে ঐ সন্ধানে ॥ দ্বিধা ভাবে এক শক্তি, জননী রমণী উক্তি, ঐক্য করে ক্ষেপ ব্যক্তি, ' অনৈক্য হয় ভ্রান্তিজ্ঞানে ॥ বৈষ্ণবী মায়াতে মোহ, সচৈতন্ত নহে কেহ,
শঙ্কর প্রভৃতি পদ্মযোনি ; কুহকে কুহক দিয়ে, মায়ার মায়া আচ্ছাদিয়ে, চাহ মা সদয় হয়ে, শ্রীরামদুলাল পানে ॥
সোহিনী বাহার—যং ।
ওগো জেনেছি জেনেছি তারা, তুমি জন মা ভোজের বাজি । যে তোমায় যেমনি ভাবে, তাতে তুমি ইও মা রাজি ॥ মগে বলে ফরাতরা, লর্ড বলে ফিরিঙ্গী যারা ॥
খোদা বলে ডাকে তোমায়, মোগল পাঠান সৈয়দ কাজী । শক্তে তোমায় বলে শক্তি, শিব তুমি শৈবের উক্তি,
সৌর বলে স্বৰ্য্য তুমি, বৈরাগী কয় রাধিকাজি।
গাণপত্য বলে গণেশ, যক্ষে বলে তুমি ধনেশ,
শিল্পী বলে বিশ্বকৰ্ম্ম, বদর নায়ের মাঝি ॥
শ্রীরামদুলালে বলে, বাজি নয় এ জেন ফলে,
এক ব্রহ্ম দ্বিধা ভেবে, মন আমার হয়েছে পাঞ্জি ॥
ললিত—অtড় । কি কর পামর মন, ঘুমায়ে রহিলে কেন। প্রায় দিবা অবসান, মহানিদ্রা আগমন ॥
মহানিশি জাগরণে, কালী কালী বদনে, ডাকরে সম্বনে যদি মুক্ত হবে এ জীবন ॥ ঘুমেরে পাড়ায়ে ঘুম, তুল কালীনামের ধুম,
ঐরামদুলালের এই মিনতির নিবেদন ॥
বাঙ্গালীর গগন ।
শঙ্করাভরণ-এফভাল । দেখরে মায়েরে বট ঘটান্তরে সর্বধটে ব্যপিনী।
সে যে অকথ্য অদ্বৈত অনিত্যরহিত
অনন্তরূপধারিণী ॥
মনুজে দনুজে জলজে স্থলজে, গেদজে আর ভুজঙ্গে, আছে মাতঙ্গে পতঙ্গে,
বিহঙ্গে কুরঙ্গে অনঙ্গ-অরি-মোহিনী ॥ শুাম শুমা হর, ধাতা পুরন্দর, কিবা দিবাকর চক্ৰধর । সকলি জগত, র্তাহার অংশেতে,
ব্যক্ত সৰ্ব্ব শাস্ত্রেতে ॥ কহে ঋকু যজুদাম, মনস্তরে নাম, | অস্তে এক ভবাস্তক ।
সৰ্ব্বভুতেতে সমান, হেরে জ্ঞানবান, গ্রীরামদুলালের এই বাণী ॥
| δημωπαυ: " Ρι
, গৌরী-একতালা ।
ভবেপরে এসে কার মহিষী ৷
একি অপরূপ, দেখ ওহে ভূপ,
অসিত বরণ অসিত নাশি ॥ রণের তরঙ্গে, নাচিছে উলঙ্গে,
রুধির বহিছে নীরদ অঙ্গে । কিবা শোভা তয়,
যমুনা সলিলে কিংশুকরাশি। দুলাল বলে একি, i সামান্ত মেয়ে কি করালমুখী।
ভাবাতীত৷ যেই,
শুস্তকে কৃতাৰ্থ করিল আসি৷
ஆ_)
ঝিঝিট—অাড়া । সকলের প্রাণ তুমি বেদগমে শুনি। তবে কেন মতভেদ হও গে। জননি ৷
ঙিfমরে তিমির বিনাশে,
কেহ হয় ধনেতে রত, কেহ নারীর অনুগত,
কেহ হিংসাপরায়ণ, কেহ তত্ত্বজ্ঞানী। সৰ্ব্বস্বরূপিণী তারা, সৰ্ব্বে সৰ্ব্বব্রুচিকরা,
সৰ্ব্বভাবে ব্রহ্ম সারা দুলালের বাণী ॥
যেন ভেসে যায়,
- অপরূপ দেখি,
মেয়ে হয় সেই, o