ぬ(社a
কৃষ্ণ কেমন মিথ্যাবাদী, দিয়ে অবলার মাথায়ু হাত, বলে যায় রাধানাথ, শেষে কি বাদ সাধাসধি ॥ বৃথা কলেম বেশ, বৃথা বধিলেম কেশ, যারে দেখবো তারে না দেখিয়ে আকুল হই ।
বুঝি শ্রাম এল গোকুলে সখি, সুধাও দেখি কোকিলে কি বলে।
পঞ্চস্বরে ডাকে কোকিল কুষ্ণ কুষ্ণ বলে । বৃন্দাবন আছে, বসন্ত আছে,
কোকিল আছে চিরকাল, ও সখি, তোমরা বল দেখি, হ’লে একি, অকালে সকাল ।
এমনি জ্ঞান হয়, রাধার ভাগ্যোদয়, গেল দুঃখের নিশি, মুখের নিশি হ’লো
গোকুলে উদয় ।
শারী গুণগুণ স্বরে কৃষ্ণগুণ গায়।
ভ্রমর গুঞ্জরে কমলদলে |
গ্ৰাম কাল মান কোরে গেছে, কেমন আছে, সখি দেখে আয় । আমায় কোরে সে বধিতে, গেল কার কুঞ্জে বপিতে, হয়ে খণ্ডিতে, মরি হরি প্রেমের দায়ু ॥
ছলে আমার মন ছলেছে, তুমি বুঝবে মন দূরে থেকে চোখে দেখে গো ! কয় কি না কয় কথ| ডেকে । যদি কাতরে কথা কয়, তবে নয় অপ্রণয়, অমৃনি সেধো গো ধোরে দুটি রাঙ্গা পায়ু ॥
সাধ কোরে করেছিলাম দুৰ্জয় মান, শুমের তায় হ'লো অপমান । শ্ৰামকে সাধলেম না, ফিরে চাইলেম না,
কথা কইলেম না, রেখে মান। কৃষ্ণ সেই রাগের অনুরাগে রাগে রাণে গো,
পড়ে পাছে চন্দ্রাবলীর নব রাগে
বাঙ্গালীর গান । ।
এত দিন নীরবে ছিল, আজ কিসে আনন্দ হ’ল, ,
ছিল পূর্বের যে পূৰ্ব্ব রাগ, এখন একি অপূৰ্ব্ব রাগ, রাগে পাছে শ্রাম রাধার আদর ভুলে যায়।
যার মানের মানে আমায় মানে, সে না মানে, তবে কি করবে এ মানে । মাধবের কত মান, না হয় তার পরিমাণ,
মানিনী হয়েছি যার মানে ॥ যে পক্ষে যখন বাড়ে অভিমান, সেই পক্ষে রাখতে হয় সম্মান । রাখতে শ্রামের মান, গেল গেল মান, আমার কিসের মান অপমান, এখন মানান্তে প্রাণ জ্বলে, জলে জ্বলে গে ।
জুড়াবে কি অন্ত জলধরের জলে । আমার সেই কাল জলধর, হলে আজ স্বতস্তর,
রাধে চাতকী করে দেখে প্রণ জুড়ায় ॥ *
নটবর কে গো সখি ! তার নাম জানিনে,
কাল বরণ, ভঙ্গী বাক, বাক আঁখি । ধাই যদি যমুনার জলে, সে কাল কদম্বতলে,
হাসি হাসি বাজায় প্রাণী
প{ণীর দাসী হেয়ে থাকি ॥ ভুবনমোহন ভঙ্গী অতি চমৎকার, সে যে মন-মত মন্মথ রূপ, ত্রিতঙ্গিম আকার । চাইলে সে চাদ বদন পানে, নারীর প্রাণ কি ধৈর্য্য মানে। একবার হেরে মরি প্রাণে, প্রেমে ঝোরে দুটি আঁখি ॥
ওহে লাকা বংশীধারি।
ভাল মিলেছে হে তোমার বাক৷ কুবুজ নারী ।
বাকায় বাকায় বড়ই ভাব, নাহি চতুরী।
রাধা সে সরলা রমণী, তুমি নিজে বাক আপনি ।
মথুরা নগরী পেয়ে, হরি ফিরিছে চক্র কোরি ॥
পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
