পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাম বম । এখন নইগো সই কাহার আমি অধীনী, স্বয়ং স্বাধীনী। ধরি না পরের ধার, আপনি সই আপনার, আপ্ত মনে মানিনী। *. পরের অধীনে কেবল লাভ গঞ্ছন ; সে জ্বালার দায়েতে প্রাণ এড়িয়েছে। বলিস্নে সই প্রেমে মজ তে আর ও মুখে নাহি প্রয়োজন। শঠের প্রণয় হ'তে বিচ্ছেদ ভাল সই, জুড়াল প্রেমে কই জীবন ! প্রণে জ্বলিতাম চিরদিন সখিলো করে পিরীতি, ঘটুলেন তার মুখ, চির দিনই ভূগ্লাম দুখ, ) হল লাভ কেবল অখ্যাতি । তাতেই পিরীতের সাধ করে বিসর্জন, বৈরাগ্য ধৰ্ম্মে মন মজেছে | তুমি হও মহাজন অপলার। বাধা রেখে মন, লব প্রেমধন, আমার যৌবন, হবে জমিনদার। পিরীতেরি খাতকৃ আমি হবে হে তোমার। পরিশোধ না হবে প্রণয়। মন বাধা থাকৃবে আমার, প্রাণ যত দিন রয়। মুদে মুখে ভুঞ্জ চিরদিন, | মোলে এ ধারে হবে উদ্ধার ॥ এসেছি পিরীত্তের দেশে প্রাণ, প্রেমিক ন পাই। হেন স্থানে নাহি প্রাণে, সঁপে প্রাণ জুড়াই। পেয়েছি হে প্রেমিক তোমায়। বঞ্চিত করেন বঁধু, কিঞ্চিতো আমায়। আপনার কোরে, লও আমারে, rপৃমনিধি দিয়ে ধার ॥ নৈলে কিছুই নয়। বটে মুখে নিধি, প্রেম যদি, মুজনে হয়। মুজনে কুজনে প্রেমে, নাহি মুখোদয় । উভয়ে উত্তম পরিশ্রম যদি করে। তবে যতনে এ ধনে রাখিতে পারে। মুখের মুখী, দুখের দুখী, দোহে দোহার হোরে রয় ॥ Ꮌ © .. বঁiচলাম প্রাণ । বিচ্ছেদ কোরে ঘুচালে বিচ্ছেদের ভয়। আগে ভেবেছিলাম, পিরীত ভাঙ্গলে যাবে প্রাণ, এখন বাঞ্ছা করি, যেন নিত্য এমৃনি হয় । একবার পোড়ে যে পতঙ্গ হে, আর তার আতঙ্গ কি রয় ? যখন আখণ্ড ছিল পিরাং, ও আতঙ্গ হোতে, ভঙ্গ হোলে হব ও সুখে বঞ্চিৎ। দেখে ভাঙ্গা শঙ্কা যার, ভেঙ্গে গ্যাচে তার, আমি এক আঁচড়ে পেলেম প্রেমের পরিচয় । যে অনলে আমায় পোড়ালে, তুমি কি তায় পুড়বে না ? যার দোষে প্রেমে যাকু ভেঙ্গে তাতো গড়ে না। প্রেমের ধাঁধা থাকে যতদিন ; বাধা থাকৃতে হবে, সমভাবে হেয়ে অধীনের অধীন। সখা নাই কোন সন্দ, কি আছে দ্বন্দ্ব ? আমার কোমল প্রাণে এখন সকল জ্বালা সয় ॥ আমি দেখেছি, শিখেছি, সতর্ক আছি, আর তো ভোগায় ভুলব না। না এলে তুমি, এখন আর আমি, পায়ে ধোরে সাধ বো না। আভাঙ্গা পিরীতের যত ভয়, ভাঙ্গলে তত থাকে না ৷ তোমার বিচ্ছেদেরে বুকে রেখে প্রাণ জুড়াব প্রাণ শুনে রুষ্ট বচন, ইলেম তুষ্ট এখন, উষ্ণজলে করে যেমন, অনল নিৰ্ব্বাণ ॥ বিষ কৃমি সম আমি, করি বিষ খেয়ে অমৃতজ্ঞান। গেল গেল পিরীত গেল প্রাণ, ভাল বঁচিল জীবন। দরশন পরশন, ঘুচলে প্রাণ এখন । হলো চক্ষু কর্ণেতে যেন ছয়মাসের পথ। কাণে শুনে প্রাণ জুড়াব, দেখার দণ্ডবৎ। পাষাণ হোরে থাকৃবো সোয়ে, পারে। যত কর অপমান ॥