পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৮ তোমার পাষাণ প্রাণ, আমার পিতাও পাষাণ, জেনে, এলাম আপনা হতে, গেলেনাকে নিতে, রব না গে, যাব দু'দিন গেলে ॥ পরের ঘরে মেয়ে দিয়ে মা, মায়া কি পাসরি। কৈলাসেতে বলে আমায় সবাই ;— “তোর কি মা নাই ? তোর কি মা নাই ?” অম্নি সরমে ম'রে যাই ॥ তাদের বলি, আমার পিতে, এসেছিলেন নিতে, শিবের দোষ দিয়ে কঁদি বিরলে। আমার মনের ব্যথা, আছে মনে গাথা, ম, কি বলিবে অন্তে, পিতৃদত্ত কন্তে ; চক্ষে দেখে দিলে পাগল স্বামী, সকলি জান তুমি, এ কি ক’বার কথা! ঘরেতে সতীনের জল গো, তাও ত শুনেছ সব। শিব-সোহাগিনীর প্রায়, রেখেছেন মাথায়, সদাই কলকল ব্লব। তবুঙ্গিণীর অভিমানের কথা, আমার সয় না, আমার সয় ন}, আমার হয় না সঞ্চত । আমি ভাবি কোখা যাব, কোথায় গে জুড়াব, কঁদি বসে বিশ্ববৃক্ষমূলে। হিমালয় আর কৈলাস শিখর, নহে দূর যাতায়াতে ;– মনে হ’লে মা ! দিনে শতবার, তত্ত্ব নিলে ত পার মা নিতে । বাংসল্য ভাবেতে তাচ্ছল্য, কি সে, শুনি, কহ ম৷ আমি হতেম তোমার মা, জানাইতাম ম, মায়ের কত স্নেহ মা ! তোমার কঠিন হৃদয়, পিতাও নিদয় ; হোকৃ মা, ও হোকু মা! একবার তত্ত্ব ত নিতে হয় । আমি এ মুখ শরদে, মরি মনের খেদে, কথার কথায় কোন বা বলে পাঠালে ॥ এসে মাধবের মধুধাম, কৃষ্ণপদে প্রণাম করিয়ে দুতী কয়, বাঙ্গালীর গান বংশীধর, বহুদিনের পর, ও চাদবদন দেখলাম দয়াময়। ফিরে চাও, চাও, চাও হে কালশশী, ংগোপনে দুটো মরমের কথা তোমায় জিজ্ঞাসি। তুমি ব্রজের ধন, কৃষ্ণধন, গোপীর সর্বস্বধন, হরি—শুনি বিক্রীত হয়েছ এই মথুরায় ॥ কি ধন দিয়ে শ্যাম, কুজা কিনেছে তোমায়! আমরা ভক্তিধন, প্রেমধন, দিয়ে সব গোপীগণ, খাম, লয়েছি শরণ ; { তবু রাধানাথ, স্থান দিলে না রাঙা পায়। এমন ধন, কও হে পেলে সে কোথায় ॥ আমরা ধন মন প্রাণ, তোমায় দিয়ে জন্মের মতন, তোমার রাঙা চরণে আছি বিকায় । তুমি হ’লে না সামুকুল, মজলে গোপীকুল, এখন অকূল পাথরে গোকুল ডুবে যায়। আমরা আহিরিণী, মনে জানি সার, তামধনের তুল্য মূল্য, ত্ৰিজগতে নাই। হে তোমার তুল্য, তুমি অমূল্য নিধি, মূল্য দিতে সাধ্য কার । তবে কি জানি কি অর্থ, কি গৃঢ় পদার্থ, আছে হে কুজার ঠাই! সেই ধন, দুর্লভ রতন, পেয়ে কৃষ্ণ মোহিত হলেন তাই। এমন ধন আর কিহে কারো আছে! দ্রব্যগুণে, তোমার শ্রীঅঙ্গ, কুজার অঙ্গে মিশেছে তুমি ভুলাও জগতের মন, ভুলালে তোমার মন, সেই ধন এখন, কাদালে ব্রজের ব্ৰজগোপিকায় ॥ " তুমি ব্রজেতে প্রেমের দায়, বিক্রীত রাখার পায়, কৃষ্ণধন, রাধার কেন ধন, হয়েছ একবার । সে ধনে অন্তের নাহি অধিকার ॥ শুনি, কও কও কও হে চিন্তামণি, মরি খেলে, কেন কৃষ্ণধন থাকৃতে রাই কাঙ্গালিনী। ক’রে রাইপক্ষে পক্ষপাত, হ’লে হে কুজার নাথ, হরি, মোলো দুঃখে রাই, একবার চক্ষে দেখলেন হোকু হোকৃ পূর্ণ হোকু কুজার মনের বাসনা। কুজ করেছে চন্দন দান, বাড়ালে দাসীর মান, তাই বামে দিলে স্থান। কিন্তু, রাধার বই কুজার গুম, কেউ বোলবে না।