পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গদাধর। ২০ ১ চিন্তা নাই, চিন্তামণির বিরহ ঘুচিল, মস্তকৃে.মোহন চুড়া রয়েছে হেলে ; এত দিনের পর ! বমমালা, গুঞ্জমালা, দুলিছে গলে। অন্তর জুড়াও গো কিশোর ! বঁধুর অধরে মধুর হাসি ;— হেরে অস্তরে বাকী বংশীধর ॥ করে মুরলী ল’য়ে, ত্রিভঙ্গ হয়ে, যে শ্যাম বিরহেতে ছিলে কাতরা নিরস্তর, দাঁড়াল সম্মুখে আসি। সেই চিকন কালে, ঈদে উদয় হলো, মনে হ’ল হেন, কুঞ্জে যেন, এখন সুশীতল কর গো অন্তর। কোটি চন্দ্র প্রকাশিল । sযদি অন্তরে অকস্মাৎ, উদয় হ'লে রাধানাথ, সখি! ব্ৰজপুরী, পরিহরি, আছে এর চেয়ে বল f৯ আর মুমঙ্গল ॥ গেছে যেই সে মাধব ; এ সময়ে পরশিতে বলে না, হয় পাছে অমঙ্গল | শুনি নাই আর, সেই হতে বঁধুর বিধি এই করুন, ক্রমুখের রব। ঘূচুক খামবিচ্ছেদ রাই তোমার। আজ একি দেখি সখি, অৰট ঘটন ! ও গো চন্দ্রমুখ, কৃষ্ণমুখে মুখী স্বপনে গুম কহে—“প্যারি, আছ হে কেমন? তোময় সদা দেখি, সাধ সবাকার । আমার ধরে সই যুগল পদে – রাধে, তোমার দুখ আর নাহি সহে, গোপিকার করিলেন মাধব আজি, বিরহানল বুঝি সুশীতল ॥ কাল স্বপনে মাধব আমার কুঞ্জে এসেছিল। রজনীতে, ছিলাম খাম সহিতে, ললিতে গো ! প্রভাতে সেই শ্রাম কোথায় গেল ॥ দিবসে শ্ৰীকৃষ্ণ-রূপ মনে ভাবিয়ে, নিশিতে নিকুঞ্জে ছিলাম নিদ্রিত হ’য়ে। আমি দেখলাম ও গো সখি, মৃত্ন সহান্ত বদন, রমণীরঞ্জন, কালবরণ বাকী আঁখি । যুগল করে কর ধরি, বলে—“প্যারি, কেমন আছ বল বল |’ কি ছলে শুম ছলিতে এল ! বলে—“উঠ গোরাই চন্দ্রমুখ! তোমার হেমাঙ্গে প্রিয়ে, শুমাঙ্গ দিয়ে, একাঙ্গ হ’য়ে থাকি । করে আমার নিদ্রাভঙ্গ, fদ,য় ভঙ্গ, ত্ৰিভঙ্গ অদেখা হ’ল ৷ কুহুম শয্যা করে, শ্ৰীমন্দিরে, জামি করেছি শয়ন ; ইতিমধ্যে শুমমুন্দর, যেন দিল দরশন। . বলে—“হয়েছি দোষী, বিনয়ে তুধি, অপরাধ ক্ষম ঐরাধে !” ক্ষণে ভাসে নয়ন-জলে, ক্ষণে বলে, “শ্ৰীমতি ত আছ ভাল ॥” এ যে স্বপ্ন কথা, প্রাণের ব্যথা, ভয়ে করিনে প্রকাশ — কি জানি কি হয় ভাগ্যে, সদা ঐ মনে ত্ৰাস। বলিতে ললিতে, আমার সিহরে হৃদয় ; কুষ্ণের কথা কৃষ্ণ জানেন, আমার বলা নয়। আমি গো সই, রাজনন্দিনী;— কৃষ্ণ-প্রেমে মজিয়ে, কৃষ্ণ ভজিয়ে, ছিলেম কৃষ্ণ-আদরিণী । সে মুখে বঞ্চিল বিধি, কৃষ্ণ-নিধি, পেয়ে পুন হারাইল । প্যারীর রাজত্ব-মুখেতে আর কায নাই, বঁচিলে প্রাণেতে বাচি । বিচ্ছেদ-জ্বালা রাই জুড়া'ত, যমুনায় ঝাপ দিত, কেবল আমরা তায় প্রবোধ দিয়ে রেখেছি। বৃন্দাবনেশ্বরী কিশোরী, যা বল সকলি সম্ভব ; হে মাধব, রাধার সে গৌরব, গিয়েছে তোমা হতে সব |