২১৬
স্বরট—ঝাপতল । বাম-ভাগেতে শুমমোহিনী,
শ্ৰামৰ্চাদ শোভিছে দক্ষে । কি শোভা যুগল-রূপ, যশোদার যুগল কক্ষে ॥ ব্যাকুলা হয়ে নদ-নারী, বলে কিছু বুঝিতে নারি,
রাই হেরি কি শু্যাম হেরি,
কোন রূপের করি ব্যাখ্যে । কিবা বর্ণ রাধা-কমলনী, স্বর্ণ-সরোজিনী জিনি, নীলমণি নিৰ্ম্মল আমার নীলকান্তাপেক্ষে — দাশরথি কহে বিশিষ্ট, পাপ-নয়নে নহে দৃষ্ট,—
একঅঙ্গ রাধাকৃষ্ণ, একবার দেখে জননি জ্ঞানচক্ষে
আলিয়=একতালা । আসার আশা আর কেন গে। বুন্দে ! অস্তাচলে সখি ! ভানু প্রকাশিবে,
কুমুদী মুদিবে,—
হ’লে দিবে কি এনে দিবে গোবিন্দেন ॥ দেহ-পিঞ্জরেতে ছিল প্রাণ-পখী, কৃষ্ণ-প্রেমাহারে দিয়ে তারে রাখি, সে পার্থী আজি প্রাণ হারায় সখি ! পড়ে প্রাণকৃষ্ণ-অশ ব্যাধের ফঁান্দে ॥
সুরট-একতাল।। দাসীর কুঞ্জে থাক এ শর্বরী ! করি কৃপা-দান, কর এ বিধান, করুণানিধান হরি। তব শুষ্ঠ সহ গুরুর গঞ্জন,
কর হে বিশ্ব-বিপদভঞ্জ — তুমি মনোরঞ্জন, এসে নিরঞ্জন! নয়নের অঞ্জন করি ॥ পুৰ্ণব্রহ্ম কর পূর্ণ অভিলাষ, কিঞ্চিং অবকাশ করহে প্রকাশ, অস্তরেতে যেন ভেবো না আকাশ,
ব্ৰজেশ্বরী হবে স্মরি। হই বনদগ্ধ হরিণী যেমন, হরি হে! করিলে শ্ৰীহরি এখন, যেওনা শ্ৰীহরি! হরি দাসীর মন,
হরিষে বিষাদ করি ॥
বাঙ্গালীর গান।
সিন্ধু-জং। বৃন্দে গো ! কেশবের বিচ্ছেদ কে সবে প্রাণে।
আমার শবরূপ—যে, সব আঁধার,
সেই প্রাণ-কেশব বিনে ॥ মা শুনে গান শরীর, না হেরে খাম-শরীর, করে কি শরীর বিশোরীর, সে গোবিন্দ জানে ॥
বেহাগ—জ২ ।
রাধার সৃদয়ের ধন ! আজি বৃন্দাবনে। কর হে বাণিজ্য-কাৰ্য্য আজ দাসী-সনে ॥ আমার স্বীকার,—তোমায় সব সম্প্রদানে । তুমি যে ধন দিবে,—সেই ইঙ্গিত নয়নে ॥ ইথে কি লাভ, বঁধু! ভাব দেখি মনে। তোমায় স্থান দিয়া হৃদয়ে, আমি স্থান লব চরণে ॥
உ_
রামকেলি--মধ্যমান।
বল হে নিদয় ! নিশি কোথা বঞ্চিলে । কেন ধনীর বাড়ালে ধ্বনি, শ্রাম-ধনে ধনী করিলে ॥ যার সনে করলে বিহার, সে হারে নাই তুমিই হার, না দিলে চিন্তামণি-হার, চিস্তামণি যার গলে।
থাক্ষাজ-—একতাল।।
ছি! তোর মানের মান কি এত । কলি সাধের শুমের মান হত । যে গোবিন্দ-পদ, আপদের আপদ, শঙ্করের সদা-সম্পদ, পদে যার ব্রহ্ম পদ, ঘটে—সে তোর পদে পড়ে পদচ্যুত। যে মাধব মুনিগণের শিরোমণি, কণ্ঠভূষণ তোমার নীলকান্ত-মণি, রমণীর দায়ে সে মণি অমনি, মণিহারা ফণীর মত ॥
имир
পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
