পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাশরথি রায় । আলিসা-ঠেকা । তোমার এই কি ছিল হে কপালে লিখন । শ্ৰীমধুস্থদন। বিপত্তিভঞ্জন নামে বিপদ হলে ঘটন। স্বর্ণ-সবোজিনী যিনি, প্রেমময়ী প্রেমাধানী, "" তাজে চিন্তামণি, কুজাতে হইল মন। অলি যেমন পদ্ম ছেড়ে, কেয়াফুলে বসে উড়ে, শেষ কালে যায় পাখ ছিঁড়ে ভাগ্যে রয় জীবন ॥ সঙ্গা পরেন তোমার পদে, ভুললে তুচ্ছ রাজ্যপদে পৰ্বলে কুঞ্জাদাসীর পদে, করিতে তার মানহরণ ॥ ললিত-লিলিট -একতালা । বধে রাধার প্রাণ, এলে কালাচাঁদ ! বল এ তোমার কোন ধৰ্ম্ম ! পেঁদে কেঁদে নন্দ, হইল হে অন্ধ, কে করে গোবিন্দ । এমন কৰ্ম্ম ॥ তোমার মাত যশোমতী, কি কব র্গতি, ওহে যদুপতি ! পতিত-পাবন। ওহে তব সঙ্গিগণে, তব আদর্শনে, ধবাসনে তার করিয়া শয়ন ! বহে চক্ষে বারিধর, বলিতেছে তার, বলেছিলে,—ছাড়া হব না আজন্ম ॥ ইমমৃ—পোস্ত । বল কি কেমনে রাখিবে কানাই, শুনি তাই। ই গুরুতে হলে দীক্ষে, কোন পক্ষে মুক্তি নাই। ইরাজার প্রজাদের মন্দ, দু-দল হলে বাধে দ্বন্দ, ইই উক্তিতে মনের সন্ধ মেটে ন— ওহে প্রাণাধিক ! বলিব কি অধিক, তার সাক্ষী সুরধুনী দেখতে পাই ॥ ওহে, ছপা দিলে দুই তরিতে, বল, কেমনে পারে তরিতে, কোনরূপেতে তরিতে পারে না,— উভয় বিদ্যমান রাখবে কার মান *গ হে গোবিন্দ। আমি মনের সনদ মিটিয়ে যাই み込め y ইমন—পোস্ত । ওহে কালচাদ ! বড় পিরীতি বড় ভাল নয়। বড় প্রেমে বড় জ্বালা, হৰ্ণ না তাতে মুখোদয় ॥ বড় গাছে বড় ঝড়, বড়ই বড় দুষ্কর, বড় হয়ে ছোট হলে অপমান,— বড় লবণাক্ত সিন্ধুনীর, অতি বড় সুগভীর, বড় বীর,শুম্ভ বীর, রণেতে হইল ক্ষয় ॥ দেখ বড় আশা করি, কালনিমে পাকায় দড়ি, ভাগ করে লব বলে লঙ্কাখান,— শেষে হনর করে যমঘরে, গেল সেই হ্রাশয়। ভৈবপী—fেক । রাপে ! উঠ উঠ একি অলক্ষণ । ধ1ণীতে তুমি ধষ্ঠ, ধরাশয্যা কি কারণ। তুমি আমি এক-অঙ্গ, ছাড়া নই তোমার সঙ্গ, মিছে কেন কর রঙ্গ, কর চক্ষু-উন্মীলন। শুন মন নিবেদন, তুমি হে! মম জীবন, জীবন ত্যজিয়ে মীন, পাচে আর কতক্ষণ ॥ থট-ভৈরবী । শোভা দেখি বাণীর নাই বাণী । নীলাম্বুজ-বামে রাধে—স্বৰ্ণ-সরোজিনী জিনি। লাক দুটি পদ্ম-আঁধি, রাকাচন পদ্মমুখী, রাধাকৃষ্ণ চক্ষে দেখি, লাজে লুকায় সৌদামিনী । পদ্ম-জ্ঞান করি রাধাকে, ধায় অলি ঝুঁকে ঝাঁকে, এ কথা আর বলিল কাকে, যেন কমলে কামিনী ঝিল্মিট পাঙ্গাজ-কাওয়ালী । তব বিচ্ছেদ রাহু দেখিলাম। প্যারী-পূর্ণচাদকে গ্রাসিল হে শুম। রাহু গ্রাসি সুধাকরে, নবদও স্থিতি করে, পুৰ্ব্বাপরে জানি আমরা সবে,— শ্ৰাম! ত্মোর রাহু কেন নবদণ্ডে যাবে, প্রাণদণ্ড করা আছে মনস্কাম ৷ যে হ’তে করেছ গ্রাস, শণীরো নাহি প্রকাশ, অবকাশ দুঃখে অীর দেখিনে, ওহে গোবিন্দ ! প্যারীচন্দ্র বিনে, বের অন্ধকার হলো ব্ৰজধাম ॥