পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। ভৈরবী—আড়ি । জনক ভবনে যাবে, ভাবনা কি তার। আমি তব সঙ্গে যাব, কেন ভােব আর ॥ আহা, আহ, মরি মরি, বদন বিংস করি, |ণাধিকে প্ৰাণেশ্বরি, কেঁদোনাকো আর । ঙ্গদয়েশি অহরহ, আমার ক্ষুদয়ে রহ, নিদয়-হৃদয় কহু, কিদোম আমার । • যখন যে অনুমতি, কর তুমি ভগবতি, কখন কি করি আমি অন্যথা তাহার ॥ সকলি তোমারি ছায়, তুমি নিজে মহামায়, তোমার বিচিত্র মায়া, বুঝে উঠা ভার। মায়া, মায়া প্রকাশতে, জন্ম নিলে অবনীতে, কে তোমার মাতা-পিতে, কষ্ঠ তুমি কার। ইচ্ছাময়ী নাম ধর, যাহা ইচ্ছ। তাই কর, তোমার মহিমা জানে, হেন সাধ্য কার । প্রাণপ্রিয়ে যাবে যথা, সঙ্গে সঙ্গে যাব তথা, ক্ষণমাত্র সঙ্গ ছাড়া, হব না তোমার ॥ কবির গ'ন । তুরায় উঠ রে ও ভাই প্রাণের বংশীধর। গোষ্ঠেতে যাবি যদি বংশী ধর । একবার চেয়ে দেখ নাই জন, মুদিল কুমুদিনী, নীলমণি, প্রভাতে কুহু পরে, গগনে প্রভা করে প্রভাকর ॥ নিশি হগ্রভাতে রাখালগণ, ঐ নন্দালয় ; হয়ে উপস্থিত, শ্ৰীদাম সুললিত, বচনে ডেকে কৃষ্ণ কয় । গোপাল, উঠ রে,—জাগিল গোকুল, লয়ে যাই গো-কুল, আর কেন ভাই নিদ্রাকুল। পূর্বদিক ঐ প্রকাশিত, পশু পক্ষী উল্লাসিত, পতঙ্গকুল হরষিত, বিকশিত ফুল। উপ পরবে নিরধি, করে ডাকাডাকি, সব পানী, হ’ল অবনী আলোময় কি মনোহর । নলিনীর দলে দলে মধুকর। গোপাল ভাই রে, গোষ্ঠে ধাবি আয়, |I! গান করে পিকংরে, । "ধয় বয়ে যায়, নিশির শিশির ঐ শুকায় ;– . 3 \ 9 আমরা যত ব্ৰজগোপাল, গো-পাল ল’য়ে এলেম গোপাল, প্রাণের গোপাল বিনে গে-পাল, গোঠে নাহি যায়। আমরা সব গোপাল চেয়ে রই, গোপাল গোপাল রে গোপাল কৈ ! কৈ রে কৈ ?— নেয়ে দেখ ভাই অস্ত যায় ঐ শশধর । গোষ্ঠে কখন যাবি, কখন আবি, বেণু বাজবি ? কখন গাভী ল’য়ে রে ভাইবেণুস্বরে গান গাবি ! ভাই রে, করে শয়ন, মুদে নয়ন, কতক্ষণ আর ঘূমাৰি । ক্রমে বেলা হ’ল উঠরে কানু ভাই। সুবর্ণ বরণ, দিনকর কিরণ, তরুপল্লবে দেখতে পাই। কানাই ভাই রে, ব্রজেতে, নিশি প্রভাতে, প্রতি বনে বনেতে, তরুলতা ঐ দেদীপ্যমান, তঙ্গকুল দোদুল্যমান, পক্ষী সকল উডট্রীয়মান, ঐ গগনপথে । হ’ল গোকুলে জনরব, কৰ্ছে মা মা রব শিশু সব, কৰ্ণে শুনতে কি পাস্নে এ সব গিরিধর ॥ ভানু উদয়ে, নন্দলয়ে, শ্ৰীদাম যায় ; বলে উঠ রে গোপাল, রায় ল’য়ে গো-পাল, ভাই গোপাল, গোঠে যাবি আয়। তাই শুনে নিদ্রাভঙ্গে, কয় নীললণি, সাজিয়ে দে মা নন্দরাণি, উদয় হয় ভানু ;– করে দাও বেণু — নন্দরাণী মোহন সঙ্গে, সাজয়ে দিলেন রাখালসাজে, ব্রঙের মদনমোহন সাজে, নব নীলতনু। সাজয়ে শীঘ্ৰগতি, শিশুমতিকে ; কহিছে যশোমতী কাতরে । ধরধর শ্ৰীদাম, আমি তোর করে, সঁপে দিলাম মাখনচেরে। দেখি দেখ্রিস্ রে গিরিধরে, যেন না গিরি ধরে, আর যেন অনল খায় না ব্ৰজপুরে ;– কহিতে জীবন জলে, আর যেন যায় না জলে, জল অনল অবোধ ছেলের বোধ নাই রে ॥