পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। তুমি নাকি রসিক নাগর, রসের সাগর, ভাবের সাগর কৃষ্ণধন ! গুণের সাগর শুম হে, প্রেমসাগর হে, ভবসাগরে কর তারণ। ওহে কৃষ্ণ, পড়ে, মানের সাগরে, এই ব্ৰজনগরে, নাগর হে ! কেঁদে বেড়াও শ্রাম! গুণধাম, বলে রাধ রাধা নাম — সজ্জা দেখি ছিন্ন-ভিন্ন, অঙ্গে রাধার পদচিহ্ন, কুস, হ’লে কৃষ্ণবর্ণ, কষ্ট অবিশ্রাম। | সৰ্ব, যাও যাও, ধাও যাও হে ধু, এ সময়; : রসময় হে, দেখ অসময় I মৃধা দিলে কেউ না ভুলে। কৃষ্ণ, দেখে তোমার এ দুর্দশা, ভগ্ন দশা, প্রাণ দয় ; এখন সে ভব নাই হে, সে রস নাই হে, রাস বিরস হে রসময় । । ওহে কৃষ্ণ, ছিল প্রেম মৃধাময়, আপনি কল্পে বিষময়, অসময় যাও হে বংশীধর, । বলব কি তা গুণাকর!— I আমার কাছে দিলে ধন্না, অরণ্যেতে যেমন । ঙ্গোর দিতে কি পারে পান্না ভগ্ন হলে পর, এ যে নয় ত নয় হে,কারো সাধ্য নয়, দয়াময় হে কান্ন, তুমি অসাধ্য প্রেম ভেঙ্গেছ কেন ভ্ৰমে । । কালে এখন কি হবে নাথ, ঘটুল দশ কপাল ক্ৰমে ॥ আগে ছিল তোমার রাধার সাধl, সে রাধ। হে শ্ৰীঅঙ্গের আধা ; . সে রসের নাগরালি, গিয়েছে বনমালি ! তাই বলি তোমার কাল হ’ল চন্দ্রাবলী; | সাধের প্রেমে একি দায় হে, বৃন্দাবন ধামে ॥ গাম হে, ব্রজে কি দায়ে রাইপ্রেম দায়। মমনি কৃষ্ণপ্রেম দায়, এ কি দায় হে গোকুলে, অকুলে ভার্সিলে আর ভাসালে,— স্বইছাড় এ কি স্বষ্টি, প্রেমে হ’ল অনাবৃষ্টি, বইল চন্দ্রাবলীর দৃষ্টি, তোমার কপালে। বিচ্ছেদ হয় ওহে বধু, এমন নয় স্কৃষ্টিময় হে – ૨૧૯ বেঁচে থাকি ত দেখব অরো কত ক্রমে ক্রমে। হয় হে ভাবলে ভাবনা বৃদ্ধি, ভাবছ কেন হরি, দশা মন্দ হ’লে পরে, লোকে উীর্থযাত্রা করে, তাই বলি হে খাম, মেখে ভস্মরাশি, যাও হুে কাশী, কুঞ্জ পরিহরি। ওহে, fপ্রয়ে যায়ু বিবাস করে, তার কি বরে প্রয়োজন। হ’ল কি গ্রহুেতে নিগ্ৰহ হে, অকালেতে লাগিল গ্রহণ। শ্রাম হে, এখন যোগী হয়ে তীর্থে যাও, প্রেমে জলাঞ্জলি দাও, ক্ষম দাও হে কালশশি, শ্রমশশি, সাজো নবীন সন্ন্যাসী ;– রমণীর মান কেন বাড়াও, আপনি সাধে| পবৃকে সাধাও ; কেন হে আর কেঁদে কাদাও, চলে যাও কাশী। এখন জয় জয় জয় দাও হে ধু, চনার জয় ; রসময় হে ! — মিছে কাজ কি আর বিচ্ছেদজালীর পরিশ্রমে ॥ কাল ভাল বেসে হ’ল এই যাতন । আগে মানি নাই কাল, কালে জানি নাই কাল, কালে জানিলে কলর প্রেমে মজতাম না ॥ বঞ্চিত করে আমায়, কালাচাদ, জুড়ালে চন্দ্রাবলীর মন ; প্রভাতে, আমায় ছলিতে, এলেন কুঞ্জে মদনমোহন । দেখে রঙ্গ ত্ৰিভঙ্গেরি, অঙ্গ দহিছে দুখে ;— করেছি এই পণ, আর কাল বরণ, নাহি হেরিব চোখে । মাথায় কাল কেশ ধরব না, কুঞ্জে কাল সখী রাখব না, কাল কোকিলের ধ্বনি আর শুনব না। শঠ লম্পট কুটিল অতি কালাচাদ,আগে জানি না কাল অঙ্গ কাল প্রায়, জ্ঞান হয়েছে মনে ;– প্রাণাস্তে সে কালায়, দেখিতে আর আমায়, সৰি, বলিস্নে ব্যানে। কাল চঙ্কের তাম আর রাখতে সাধ নাই আমার, কাল তমালের তরু কুgে রাখব না ।