পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ.ԳԵ বাঙ্গালার গান। করেন। মনেব দুঃখে শ্ৰীপব একটা বন্ধুর সহিত মুরশিদাবাদে গিয়া ব্যবসায়-বাণিজ্যে প্রবৃত্ত হন। কিন্তু ভাগবত বিশারদ স্বভাবকবি , সুকণ্ঠ গায়কের রসতরঙ্গ-ভঙ্গময় কাব্যোঙ্গুমে, ব্যবসায়ের কূটপ্রবৃত্তি কোথায় ভাসিয়া গেল। খ্ৰীধর ব্যবসায় ছাড়িলেন। বহরমপুরে গিয়া তিনি কালীচরণ ভট্টাচার্য্যের নিকট কথকতা শিক্ষা করিলেন । তথায় আত্মসাধনায় কথকতার চরমোৎকর্ষ হইয়াছিল। কথকতা, নাট্য-ভাবরসাদিব অভিব্যক্তি। কেন অবস্থায় মানুষের কি ভাব হইয় থাকে, কথকতায় অঙ্গভঙ্গে বা বাক্যরঙ্গে তাহার বিকাশ করিতে হয়। কথকতাশিক্ষার কালে শ্ৰীধর কথন কোন বালকের হাতে সন্দেশ দিয়া তাহ কাডিয়া লইতেন, তার দুইটা বিশাল চক্ষুর অন্তদৃষ্টিতে বালকেরও তখনকার সে ভাব তুলিয়া লইভেন : আবার কখন বা বুদ্ধের দন্তহীন মুখেব কথার ভাব গ্রহণের জন্য কোন বুদ্ধের সঙ্গে কথা কহিয়, নির্নিমেষে "হির রসনার গতিপ্রকৃতির পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করিতেন। সৰ্ব্ববিধ ভাবাভিব্যক্তির বিকাশ-শিক্ষায় প্তাহার এমনই সাধন ছিল। তাই তিনি আদর্ণ-কথক হইয়াছিলেন । প্রসিদ্ধ কথক ৮ লালসাদ বিদ্যাভূষণ উচ্চার পিতামত। কথকতায় ঐধর পিতামহের মুখ উজ্জ্বল করিয়াছিলেন। ৬ রতন: BBBBDD BBS BB BBtS gBB BBB BBB BBBBBB BBB BB BBB ছিলেন ; কিন্তু কপিত্বে তিনি কুলতিলক পাঠক ! শ্ৰীধর যে সু-কথক ছিলেন ; ইহা বোধ হয় জানেন; তিনি সুক, নুপুরুষ ছিলেন, ইহাও বোধ হয় শুনিয়াছেন ; কিন্তু তিন কিরূপ কবি, তাহার কবিত্বই বা কিরূপ, তাঙ্গ বোধ হয় অনেকেই অবগত নহেন। তিনি বঙ্গেব দি তীয় মরিমিঞা। তাহার রসময় ভ বময় টপ্পা, অনেকেব মুখে শুনা যায় ; কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই সব টপ্পাব রচয়িত কে ? মিলি গাহিতে জানেন, উাহার মুণে শ্ৰীধরের টপ্পা শুনি। আর যিনি না জানেন, তাহারও মুখে শুনি। যিনি গাঠিতে জানেন, তিনি ভাবে স্বরে বিভোব হইয়া গান ; যিনি গাহিতে না জানেন, তিনি ভাবে বিভোর, আপন স্বভব-সুখে গাড়িয়া কেবল ভাবের উচ্ছ্বাসে উন্মত্ত হন। শ্ৰীধর কথকের যে টপ্পা আছে, কেহ ওহি জানিয় থাকিতে পারেন ; কিন্তু তিনি যে খামাবিধয়ে ও কৃষ্ণবিষয়ে অপূৰ্ণ ভাবময় গানের রচনা করিয়াছিলেন, তাহা খুব কম লোকই জানেন। অনেকগুলি ধরের গান, নিধুবাবুব নামে ইদানীং চলিয়াছে। ৬ রামনিধি গুপ্ত (নিধুবাবু) টুপী সঙ্গীতের রাজা। কলশে শ্ৰীধরের নাম বঙ্গের “শিক্ষিত-সাহিত্যসমাজে” একরকম লুপ্তপ্রায় হইয়। আসিয়াছিল। নাম লুপ্তপ্রায় উক,-কিন্তু ভাস্কার ভাল গানগুলি লুপ্ত হয় নাই। তাহ যে লুপ্ত হইবাব নহে। সঙ্গীত ভুল যে চির দিন অবিনশ্বর। অবিনশ্বর বলিয়াই শ্ৰীধরেব গানগুলি বাঙ্গালীর কণ্ঠে কণ্ঠে সদা গীত হইয়া আদিতেছে। কিন্তু এ সকল গান কাহার বিরচিত তাহ লোকে বুঝিতে না পারিয়া, নিধুবাবুকেই এই গানের রচয়িত বলিয়া ঠিক করিয়া লইয়াছিলেন। অনেকে ভাবিতেন, এমন সুন্দর সুকবিত্বপূর্ণ, সুমধুৰ টঃ এক নিধুবাবু ভিন্ন অঙ্গ কাহারও হইতে পারে না। তাই অনেকেই স্থির করিয়াছিলেন,--- “ভাল বসিবে ব’লে ভাল বাসিনে ! অামার স্বভাব এই, তোমা বই আর জানিনে। বিধুমুখে মধুরঙ্গলি,—দেখতে বড় ভাল বসি, তাই তোমায় দেশিতে আসি,— দেখা দিতে আসিনে ৷” উপরিউক্ত এই গানটা নিধুবাবু কর্তৃক বিরচিত। কিন্তু বস্তুতঃ তাহা নহে। আমরা বহুদিন পূৰ্ব্বে হুগলীজেলাস্থ প্রাচীন লোকের মুগে শুনিয়াছিলাম, এ গান নিধুবাবুর নহে,—শ্ৰীধর কথ.কর, যখন শ্ৰীধরের সমগ্রসঙ্গীত উদ্ধার করিবার আমাদের আগ্রহ জন্মিল, তখন শ্ৰীধরের ভ্রাতুষ্পত্র বিত্ৰ কথক পণ্ডিত শ্ৰীমুক্ত অতুল্যচরণ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের আমরা শরণাপন্ন হইলাম। আমরা শুনিয়াছিলাম, স্বয়ং ইধর তদার সমগ্র গান একখানি খাতায় লিগিয়া রাখিয়াছিলেন। এক্ষণে খাতখানি জীর্ণ এবং স্থানে স্থানে কীটী | সেই খাতাউক্ত ভ্রাতুষ্পত্র পণ্ডিত অতুল্যের নিকট ছিল। শ্ৰীধরের স্বহস্তলিখিত সেইখাত খানিতেই, ঐ ভাল বাসিবে বলে, ভাল বসিনে । 歌 গানটী লিপিবদ্ধ আছে। কিন্তু খাতায় লিখিত গানের সহিত প্রচলিত গানের পার্থক্য আছে । জীধরের খাতায় লিখিত গানটী এইরূপ ;– “ভাল বাসিবে ব’লে, ভাল বাসিনে । আমার সে ভালবাসা, তোমা বই, জানিনে ।