পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীধর কথক । मित्रू-भषामांन । কারে কব যে দুঃখ আমার, হলো এবার প্রাণে বাচ ভার। দিনে উপবাসী প্রায়, জাগিয়ে যামিনী যায়, । হলো একি দায় ! মনে কোন মতে স্থিরতা না মানে একবার। যাতে আমি হই মুখী, তা হতে দ্বিগুণ দুখী। করি কি উপায়! ভেবে উপায় না পাই কিছু সকলি দেখি আঁধার। শখাম্বাজ —মধ্যমান । i কেবলি কথায় এত দায় ; যে মুখ, সে দরশনে । যতনে অঙ্কুর হলে, গেল কথা বরিষণে ॥ জান-জানি পরস্পরে, যা না জানি পরস্পরে। কত মুখ ইতো পরে, পরশনে পর-সনে ॥ | খাম্বাজ—মধ্যমান । অশেষ কণ্টক, প্রেম বনে। বিশেষ বিচ্ছেদ শেষ, তনু শেষ সে দংশনে ॥ ফুটলে কলঙ্ক-ফুল, যার গন্ধের নাহি ভুল, পরে হরে জাতি-কুল, প্রবেশিলে, সে কাননে। যখ-তরু সাধারণ, দুখ বৃক্ষ অগণন ভয়ানক পশুগণ, কে বঁচে তারি গর্জনে ॥ যন্ত্রণ শাৰ্দ্দল ভয়, গঞ্জ গণ্ডার-মধু, ভংসন-ভল্লুকচয়, কার সাধা বনে গণে ॥ | | | | টি-মামান | কে বলে বিচ্ছেদ ভাল নয়। সেত ভাল নয় ॥ আমি জানি সেই ভাল, তাতে অতি মুখোদয় । আমি ত বিচ্ছেদে ব্রত, হয়েছি সখি! সম্প্রক্তি, ইতে কি হয়েছে ক্ষতি, বরঞ্চ মুখ সঞ্চয়। নিস্তে প্রাণান্ত হতে, তাতে নাহি দেখা দিতে, এখন সে যে অবিরত, অন্তরে আছে উদয় ॥ বাহার বাগেশ্ৰী-ঠেকা । | বলো দেঞ্চি বিধুমুখি, আমারে কি ছিল মনে * "ত তোমার লাগি, সদা পূড়েছি পরাণে । ԳՆ ֆ পরেরি পরাণ তুমি, তব অনুগত আমি, দেশেতে আছে বদ্‌নামী তব কারণে ॥ প্রাণ তোমার আশা করে, এ দেশেতে আশা ফিরে, এসে পেয়েছি তোমারে, দেখেছি বেঁচেছি প্রাণে । ঝিঝিট —মধ্যমান । নিশি আর রবে কত কাল ৷ হইল সকাল ॥ স-কালে না এলে শশী, ক্রমশঃ হ’লো সকাল ॥ প্রথম উদয় কালে, কোন গ্রহে বাধা দিলে। সৰ্ব্বগ্রাসী বুঝি হলে, স্থিতি হবে চিরকাল ॥ বাহার—ঠেকা । সাধেরি প্রণয়ে,—যদি করে রে মান । তা-ও কি হ’বে না রে সমাধান ॥ যদি বলে,—মান ছলে, অধিক প্রেম উথলে, তিলে তিলে এমন হ’লে, কিসে বঁাচে প্রাণ! তুমিত হ’লে মানিনী, আমি বা কবে মানি-নি, বুঝা গেল ব্যবহারে, আছে তোমার অন্তে টান ॥ ঝিঝিট—মধ্যমান । প্রেমের ঋণ, চিরদিন, শুধিতে নারিব প্রিয়ে ॥ বঁচিব হে যতদিন । হ’ত যদি অন্য ঋণ, স্থানান্তরে পেতাম ত্ৰাণ, ঋণসংখ্যে তত দিন, যাবত জীবন ; পরিশোধ সেই দিন, যে দিন, দেহ হবে পরাধীন। পিলু-আড়াঠেকা। কি করে কলঙ্কে ? যদি সে তোমারে ভালবাসে। আমি যার বাধা সদা, সে পড়িল সেই ফঁাদে ॥ বিচ্ছেদে যাতনা যত, কলঙ্কে কি ঘটে তত, অচেতন অবিরত, মিলনের অভিলাষে ॥ ভৈরবী—ঠেকা । এই মনে বাসন,— আমায় কেউ যেন ভাল বাসে না। পরে ভাল বাসিলে পরে, পরাণে পাব বেদনা।