পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধুকান। কলংড়া—গড়-ধেমূটা। বলে উঠরে কানাইরে, ও তোর ভয় নাই রে, মোরা সে খেলা আর খেলিব নারে । গোঠে না যাস্ যদি ও ভাই কানাইরে, মোরা রাখাল রাজা করব করে ॥ দেওগিরি—ঢ়িম-কাওয়ালী । জীবন যাদব বাধানে, যে কথা ছিল তোর সনে, নৈলে যে ত্যজিব জীবন যমুনার জীবনে ॥ বলেছিলি আছি বঁধা, ডাকিলে এসে নিবি বাধা, বাধা নিতে কে দেয় বাধা, কে এমন বৃন্দাবনে ॥ ত্যজবি যদি ওরে গোপাল, ছিল যদি তোমার মনে, গোপ-গোপালে গিরি ধরে কেন নাচাইলি প্রাণে, কালীদহের বিষ জীবনে, রচালি তোর সধাগণে, যে ছিদাম মরে তোমার জন্তে, তারে বা পাচালি কেনে ॥ তাপিত প্রাণ মোর শীতল কর, জনক বল চন্দ্রমুখে, যশোদাকে ডাক একবার, শুনুক রে গোকুলের লোকে ; স্বদন কয় জানিলাম হরি, রাধার প্রেমে হল ভারী ; এত প্রেমে দিলে ডুরী, এই ছিল তোমার মনে ॥ সিন্ধু—ঢ়িম-কাওয়ালী । কেবা জ্বরেছে প্রেমজরে, এই নগরে বল শুনি। এখনি স্নান করাইব খাওয়াইব ক্ষীর নবনী ॥ পড়া আছে নাড়ীচক্র, জানা আছে যট্‌চক্র, সুচাতে পারি কুচক্র, এমি আমি চক্র জানি ॥ নিদানেতে বিদ্যা জনাই নিদানের কলে, যে করে মম স্মরণ রক্ষা পায় গেলে, নিদানেতে বিধান বটদেই রাজা রামচাদের বট, গোপালের নাস দিলে কত, গোপাল ভাল হয় তখনি ॥ দেখিলে রোগের প্রাদুর্ভাব তাতে না চটি, সুচিকাভরণ দেই কিংবা দেই চটী, পড়া আছে রাধা-তন্ত্র, আর কত জানি মন্ত্র, নানা রোগ করি ক্ষান্ত, O8WS) কুতাস্ত ধায় শুনিলে ধ্বনি ॥ আরও আছে রাঙ্গ গুড়ি, সকলে না পায়, রোগী বুঝে দেই তাহ, ধারে সেই পায়, নাম রতনমণি গুপ্ত, আমার সব ওষধি গুপ্ত, স্থদন কয় আজ হবে ব্যক্ত, শক্ত দায়ে ঠেকেছে নীলমণি ॥ বিভসি—ঢ়িম-কাওয়লী । শুন মা জনম কথা, নয় কে কলার কথা । সে দুঃখের কথা, কোথা জন্ম নাহি জানি, মাত পিতা নাহি চিনি, কেবল লোকের মুখে শুনি সে সকল কথা। জন্মের পরে পত্রেপরে ভেসেছি জলে, মা কেমনে চিনিনে মাগো কারে মা বলে, বহুকাল ভাসিয়া জলে, পরে এসেছিলাম কুলে, দশভুজা নারী পেলে সেই হবে মাতা। তার পরে এক দ্বিজনারী তাকে মা বলিলাম,, খৰ্ব্বরূপে আমি তথায় কিছু কাল ছিলাম, তার পরে এক রাজা রাণীকে, মা বলিয়ছিলাম মুখে, তার পরে মথুরায় আছে দুঃখী এক মাতা ; মথুরায় মা বলি তঁকে গোকুলে এখন, এখানে আছে এক মাতা তোমারি গঠন, স্থদন কয় মাতৃহীন ছেলে, যারে পায় তারে মা বলে, চিকিৎসা নাই নিদানকাল বিনা সেই কথা ॥ Φ"π"Ηaaaaataal রফরদ1—টিমা ফাওয়ালী। ননীর গন্ধ কয় বদনে, কেমন বৈদ্য জানিব কেমনে। যেন গোপাল সেই হতেছে মনে। সেই ভঙ্গী ত্রিভঙ্গিম, সেই ঠাট সেই ঠগিম, হেরি যেন সেই চল্লিম, যার পূর্ণচন্দ্র চন্দাননে ॥ দেখতে কাল, যেন কাল, আমার কালাচাঁদ, চাদ পড়েছে ফান্দে এসে, এসে বৈদ্যচাদ, সেই চাদে হয়েছে গ্রহণ, করগে তার রাহু গ্রহণ, গ্রহণে ঘুচিবে গ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ দিনমানে ॥