পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*4* আয় রে গোপাল আয় রে কোলে, বারিধারা বহে নয়নে ॥ কেউ যদি কয় কৃষ্ণ কথা, অমমি কয় কথা সে নয় কোন কাজের কথা, পাগলের কথা, দেখে আমি এলেম ফিরে, তুমি যদি না যাও ফিরে, পড়বে তারা বিষম ফেরে, স্থদন বঙ্গ বাচাবেনাক প্রাণে ॥ জয়জয়ন্তী—ঢ়িম-ক ওয়ালী | তীরে নীরে রেখে শ্রীরাধারে, বলে কোথায় কর্ণধার রে । সখীগণ কাদিছে ধারে ধারে । কেউ বলে হইল সময়, এ সময়ে কোথা রসময়, এসে দেখা দেও এ সময়, পেয়ে সময় এ কি বাদ সাধ রে ॥ হইয়ে প্রসন্ন, শুষ্ঠপথে এস খাম, স্বর্ণময়ীর জীবনশূন্ত দেখ গুণধাম, কেউ বলে আর কেন ডাক, রাইশ্রবণে ঐ নাম ডাক, প্যারীর ত পরকাল রােখ, এই কাল ত গেল ধীরে ধারে । এস করি অন্তর্জলি কোন তরুণী, কর বৈতরণী যাতে পাবে তরুণী। স্বদন কয় শুন তরুণি, নাই যার চরণ বৈ তরুণী, তার কেন আর বৈতরণী, যে তারে সেই পড়ে ঐ ধারে। ঝিঝিট—ঠেকা । চল প্রভাসে, আর কার আশে রব মুখবাসে। বুঝিলাম কথার আভাসে, আর কানাই এসে না এসে। এত দিন ছিলাম যার আশে, সে যদি নাহিক এসে, তবে চল কানাই-নিবাসে, এ ৰাসে না প্রাণ বসে ব্রজলাখ হইতে কি ভাই হল এত ব্রজের মায়, এ কি মাক্ষায় ভুলে জ্ঞাছি মিছে মায়ার কেন মায়া বাঙ্গালীর গান ত্ৰিজগং ভুলে ধার মায়ায়, সে ভুলে আছে যার মায়ায়, চল গিয়ে দেখি গে মায়া, কি মায়া জানে সে দেশে, স্থদন বলে কর সজ্জা হবে না নৈরাশে ॥ পরজবাহার-ঠেকা । কি কাজ আছে দুঃখিনীর ভূষণে । দরশনে যাইতে শু্যামের সনে ॥ হেথা করিলে ভূষণ কেবা দেখে কেবা শুনে ॥ যাব শুমের অন্বেষণে, যত মহিষীর সনে, আমায় দেখে হাস্বে সবে বদনে দিয়ে বসনে৷ হেসে বলবে এই কি তোমার শ্রীরাধা রূপসী, এসেছেন বেশভূষা করে হতে রাজমহিষী, তখন আমি মরিব লাজে, লুকাব অবনীমাঝে, আরও রমণী-সমাজে, হরি যে মরূবে গঞ্জনে ॥ বেশে কি কাজ আছে সখি এই বেশমন্ত্র, বিনা সেই বিশ্বমিত্র বিষয় বিষময়, স্বদন বলে বিশ্বময় বিস্মরণ হয়েছ তাই, তুমি রাধে বিশ্বজয়ী কে বা না তোমাকে জানে। ঝিঝিট—ঠেকা । আমি কাঙ্গালিনী নই, দ্বারি ! শোন রে কই। যার ধনেতে তুমি ধনী, সেই ধনহার কাঙ্গালিনী, আর কিছু নিতে আসিনি, আমার সেই কৃষ্ণধন বই ৷ অন্ত ধন কি গণ্য করি, মান্ত যে ধন সেই ধন গণি, আমার সে ধন অতুল্য ধন রতনমণি ;– নীলমণি নীলকান্তমণি, তার কূঞ্জ কি পরশমণি, স্বারি তোরে দিব মণি, দেখাও ঘাতুমণি কই ॥ রজত-কাঞ্চনের কথা, তুলনা দিতে ভুল না, ' আমার সে যাদু বাছাধন, একবার পেলে আর ভুলবে না, স্বদন বলে তুমি মণি, তুচ্ছ করে অন্ত মণি, যে ধন সাধন করে মুনি, সেই ধনের কাজালিনী হই ।