په و)O\
আমার নাম হীরে মালিনী, কোড়ে রাড়ী নাইকে স্বামী, ভালবাসেন রাজনন্দিনী, করি রাজমহলে যাওয়া-আসা ॥
কাওয়ালী । মাসি, চল চল যাই চল তোমার আলয় । আশাতে নৈরাশ করে ন৷ দীনহীন নিরাশ্রয় ॥ ছমাদের পথ ছয় দিবসে, এসেছি অতি সাহুসে, মরি না যেন আপশোসে, শেষ যেন রয়।
আড়খেমটা ।
যাদু ! চিস্তে তো পার নাই, আমি শুরু ডাঙ্গায় পান্স চালাই । এ নয় রে তোর তেমন মাসী, সৰ্ব্বনাশী, নিমেষেতে কাশী-মক্কা দেখাই । আমি যদি মনে করি,ফাদ পেতে চাদ ধত্তে পারি,
কুহক দিয়ে কুলের নারী, বাহির করি, বাহির করে, ভেক্টী লাগাই।
च्षांपूरभंग्रुप्रै 1।। মাসি, কও দেখি আমারে। আমি প্রাণ জুড়াই মুসমাচারে।
রাজবাটীর সব বেওরা কথা, খুলে বল, ও সে বিদ্যা কত বিদ্যা ধরে ॥
এ রাজারই কেমন বিচার,সস্তান-সন্ততি কি তার,
প্রকাশিয়ে বল একবার, কি ভাবে রেখেছেন সেই তনয়ারে।
আড়খেমৃট । একি ওঠ ছুড়ি তোর বিয়ে। যাহূ চাল ধরা কি হাত বাড়ায়ে ॥ উতলার কাজ নয় রে বাছ, সবুর কর, মনকে রাখ প্ৰবোধিয়ে । - চেয়ে দেখ বাতুমণি, তেজস্কর দিনমণি, সারা দিনটে যায় অমনি, ও চাদমণি,
বলৰে কথা প্রাণ জুড়য়ে।
বাঙ্গালীর গান ।
কাওয়ালী। তাই ভাবছি মনে মনে ও হীরে মাসি। হাট-বাজারের বেলা হলে, কাজ বাজায় কে নাইকো দাসী ॥ ক্ষুধাতে আর প্রাণ বাচেন, উপায় কি করি বল না, বুক ফটেতে মুখ ফেটে না, কেবল কাঠ-হাসি হাসি ॥
cviड1 ।। যাদু, তার ভাবনা কিরে। আমি মাসী থাকৃতে ঘরে ॥ ক্ষুধার সময় খেতে দিব, পিপাসায় জল দিব তোরে বাজারের ব্যাপারী যারা, আমার তো হাত-ধরা তারা মাথায় ক’রে প্রেম-পসরা, বেড়ায় আমায় দিবার তরে । আমি যদি মনে করি, বুড়ার বিয়ে দিতে পারি, পয়সা পেলে কিসে হারি, প্রাণে রাখি যত্ন করে।
আড়খেম্টা।
মাসি, যাও তবে বাজারে । যেন যেওনা গো মন-বেজারে ॥ বাজারের খরচ কিবা, স্পষ্ট কথা ওগো মাসি,—স্পষ্ট কথা কও আমারে। ৰে যে দ্রব্য প্রয়োজন, আনিবে করে স্বতন, আমি করি আয়োজন, ততক্ষণ, তুমি এস একটু ত্বর করে।
கரு
আড়খেমটা । যাদু, এই কি কথার কথা । তোর কাজে কি আমার ব্যথা ॥ তোর ভরে প্রাণ নিতে পারি, আমি নারী, আমি নারি নাড়ুতে মাথা ॥ মনে বুঝে দাও রে বাপ, তোমারে কি আছে ছাপা, মালীরে দিওনা খাপ্পা, ওরে ক্ষেপ, আমি কি করব অন্তথা।
পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৪৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
