গোপাল উড়ে।
আড়খেমট। তবে, গাথি মাল, মাসি সাজায়ে ডাল,
আন গিয়ে ফুল। মালার মাঝে পত্র দিব বিদ্যার সমতুল। সেউতি গোলাপ সেফালিকে, অতসী নবমল্লিকে, জাতি যুথি অপরাজিতে, দোপটী পারুল।
\| একত্তালা । যাদু গাথ গাথ হার, কর কি বাহার, হেরিব তোমার ও যদুমণি। তবেই বাহাদুরি, যাই বলিহরি, দেখুকু এ চতুরী সে রাজনন্দিনী। সেউতি জাতি যুথি, মল্লিকা মালতী, পুষ্প নানা জাতি নেরে রতনমণি। যেখানে যা সাজে, দিবে মাঝে মাঝে, হেরে হারের কাজে, হারে যেন ধনী ।
একতাল । মাদি, কি বলিতে পারি, পারি কিম্বা হারি,
ভুলতে সে নারী, গাধিয়ে মালা। চিকুণ গাঁথনি, গাথিব এখনি, লয়ে যাও আপনি, সাজায়ে ডালা ॥ শুন মাসি শুন, তোমারি এ গুণ, আমি গে| নিগুণ, করি ছেলেখেলা ॥
একতাঞ্জা । বাছ, দাও দেখি হার, ইয়ে যাওয়া ভার, কি পাই উপহার, বিদ্যার কাছে। হয় তো পাব হার, নইলে প্রহার, অস্থি চৰ্ম্ম সার, ললাটে আছে ৷ কল্লি ছেলেখেলা, দায়ে টেকি গেলা, বুনি ঔষধ গেল, হরে তার কাছে।
আড়খেমৃট । আমি নিত্য নিত্য রাজবাটীর ফুল, যোগাই
6कxन द८: | ঘামিনীতে কামিনী ফুল, নিত্য নে যায় চোরে।
চোখের মাথা কে খেয়েছে,
অফুট ফুল তুলে নেছে,
\0ጎ »
মুচড়ে কলি ভেঙ্গে গেছে, আটাতে গাছ ভাসিয়ে দেছে, লেটায় নেক্সা মেরে ॥
খাম্বাজ-আড়াঠেকা ।
পোড়া লোকেরই জালায় ঘরে রব না সই । আমার মন-বেদন বল করে কই ॥ একে নারী অবলা, ফুল বেচি দুবেলা,
আমার এত কিসের জ্বালা, গাছতলাতে রই ॥
(> আলিয়া-খাম্বাজ-খেমটা ।
যাবনা ধাবন মালঞ্চে ।
এমন করে দুসন্ধে কি প্রাণ বঁচে ।
যাব সেই বকুল তল, কুড়িয়ে ফুল আজ গাথব মালা, সাজাব ডাল,
যা বলে বলবে রজবাল,
ভাগ্যেতে মোর যা আছে। যাব সেই বাধা ঘাটে, নানজাতি কুসুম ফোটে,
যে পায় সে লোটে,—
বুক ফটেতে মুখ ফুটেন,মরি মনের আপশোধে
খাগাজ-আড়গেমৃটা।
কে ফুল তুলেছে গাছের মুল ভেঙ্গে দিয়েছে। মনো-দুখে মরে যাই এসে মালঞ্চে । কাল আমি এসেছি দেখে, ফুটেছে নব-মল্লিকে,
চোকখাকীরে চোকে দেখে, | এমন কৰ্ম্ম করেছে।
এই কি লে| তোর ফুল ধোগান,
ওলো হীরে সর্বনাশী। বয়ে গেলে শিব-পুঞ্জ, সারাদিন রই উপবাসী। চেয়ে দেখ দেখি বেলা,পেয়ে মেয়ে করিস্ হেলা,
কাজ করা নয় বেগার ঠেলা, বুঝি ফুল এনেছ কালকের বাগী।
আড়খেম্টা।
முக
পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৪৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
