পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৪৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোপাল উড়ে। কাওয়ালী। প্রবণে নবীনে হতে আরো বাসনা। নয়ন বিহনে মুখ দর্পণে হের না। হদ করলে বৃদ্ধ কালে, সার্থক প্রেম শিখেছিলে, ছেঁড়া চুলে বকুল ফুলে খোপা বেঁধেছ,— প্রেম কি ঝালিয়ে তুলেছ,— হায় বাহার, কি বা হার, ‘যেতে হবে রবি মুতলয়ে— তার উপায় কি বলন৷ _ কাওয়ালী। রাজনন্দিনি, ধৈর্য্য ধর ক্ষম কর। এনেছি চিকণ হার, ধর ধর ধর । গাঁথিতে চিকণমালা, তাইতে হয়েছে বেল, হের হের রাগ হর, হয়ে ন উতলা,— দুঃখিনী আই তোমার, তোমার কাজে ব্যাঙ্গার, যা বল সব দোষ আমার, পূজা কর কর। আড়খেম্ট। রাজনন্দিন নাও গে মালা । তোমার কার্য্যেতে আমি কখন না করি হেল। বিনিতে যুতে যুতে, এনেছি হার তোমায় দিতে, থাকে যদি সন্ধ ইথে, হায় হায়, না জানি কি বটে জল ৷ আড়খেমট । আই, কও দেখি আমারে। সত্য বল আমার মাথর কিরে। এ মাথনি কে গেঁথেছে, কেমন সে জন, মঞ্জন বটে,—দেখছি হারে। যে করেছে কারিকুরি, গলায় দেছে প্রেমের ছুরি, অন্যসে মন নিল হরি, বল কি করি, রেখে যত্ব করে নিজাগারে। আড়াখেমটা । নাতনি, বল,বাকি আর তোরে। বলতে কথা গা শিহরে। এসেছে এক বোনপো আমার, গেঁথেছে হার, ওলে গেঁথেছে হার, স্বত্ব করে। ৩৭৩ রূপেতে কদৰ্প হারে গুণের তুল্য বলবো কারে, দেখলে পরে সে বাছারে, এ সংসারে, ও কেউ চায় না কো আর থাকৃতে ঘরে ॥ কাওয়ালী । ওগে আই, দেখাইতে পার না কি তারে ? যে জন ছলেতে মন হরিল ফুল-হারে। শুনি তার রূপ গুণ, অন্তরে জ্বলে আগুন, ধৈর্য্য ধরে না মন, হইনু বিগুন,— ধরিগে তোমার করে, মিলন কর সত্বরে, পাচিনে, আর প্রেম জ্বরে, রাখ বিকারে ॥ আড়গেমৃt1। নাতিনি লো! তার তাবনা কি আর ? রাণীর কাছে কালি দিব সমাচার। এক হাতে দুই হাত হবে লোতোমার, হবে নিধিকার, যন্ত্রণ বিকার, আইবুড়তে পার হবি লো এবার। কাওয়ালী । প্রকাশ করেন আই, আর কারেও বলেন। চুপে চুপে চুকিয়ে দিওঁ চুপকরে থেকে না। মা বাপে কি বলা যায়, যদিন গোপনে রয়, সইলে সকলি সয়ু, জেনে কি জান না। তুমি আমি তিনি ভিন্ন, একথা কি জানবে অন্ত, সখির কি আমা ভিন্ন, মনেতে ভেবনা ৷ আড়খেফুট)। একি সৰ্ব্বনেশে কথা। ভয়ে মরি ওমা যাব কোথা ॥ গোপনেতে অণুবো তরে কেমন কর, ও সে কেমন কোরে, আসবে হেথা ॥ গুপ্ত পিরীত কে শিখালে, কেবা এ মন্ত্রণ দিলে, মরবার ঔষধ পরবে গলে, মরবে বলে, শেষে খাবি কি লো আমার মাথা ॥ கமற,