রসিকচন্দ্র রায় । ,
রয় এ পারে, রসিকচন্দ্রের ঘুটিঘোরে, পড়ে কেবল ঘোরে, বোরে ভববোরে অনিবার ॥
বিভার্স—একতালা । ওমা শঙ্কার, আমি কেবল হারি,
জিত হল না ভাগ্যফলে। খেলি সাধন শতরঞ্চ, করিয়ে প্রবঞ্চ,
পঞ্চভূতের ঘরে মন হারালে আমি যদি বলি বস্তি, দিতে পাপের কিস্তি, মন্ত্রণা দেয় মনকে ছজন মিলে, গুরুমন্ত্রের বাজী, রসিকচন কয়, ভুলায় ছজন পাজি, মায়া মাতের ঘরে ফেলে অমরে হারালে ॥
থটু-ভৈরবী—একতাল।। কালীসাধন প্রেমার, খেলা হলোনা তারা, যদি যাই গো ভক্তিদানে, মন কি সে দান মানে, ফুরুষ মেরে প্রাণে কর গো সারা । পাপের ফুরূষ মেরে ডাকে মৌরস্ত, হতে দেয় না আমার কালীনামের রেস্ত, যায় সমস্ত, যদি পুনঃ রেস্ত করি, ওমা শুভঙ্গরি, মায়া তাড়া শুনে বাজি হই হারা ॥
মুলতান-একতালা । আয় মা সাধনসমরে, wখিব মা হারে কি পুত্র হারে। আরোহণ করেছি মহাপুণ্য রথে, ভজন পুঞ্জন দুটা অশ্ব যুতে তাতে
দিয়ে জ্ঞান-ধনুকে টান, ভক্তি ব্ৰহ্মবাণ, বসেছি ধরে ॥ ম, দেখবে তোমায় রণে, শঙ্কা কি মণে, ডস্কমেরে লব মুক্তিধন – আমার রসনা ঝঙ্কারে, কালী নাম হুঙ্কারে,
কার সাধ্য আমার রণে রণ ॥
বারে বারে তুমি দৈত্য জী, এইবার আমার রণে এসে ব্রহ্মমী, ভক্ত রসিকচন্দ্র বলে, মা তোমারি বলে
ঞ্জিনৃৰো তোমারে।
ாக
8:ጫ
ৰাহার—একতালা । গেল দিন আর কদিন বাকী, হলো ব| কি, কর বা কি, হরিবোল বলিয়ে মুখে
এই বেলা দাও কালকে ফাকি। সময় গেলে অসময়ে অসময়ে
আর কিছু হবে না তখন, বেলা থাকিতে হেলা করি হারাও না কৃষ্ণধন, যায় রে মুদিন, আয় রে ও মন,
বৈকুণ্ঠন থেরে ডাকি। বল কৃষ্ণ বল রাধা, ঘুচে যাবে ভবের ধাদ, রসিকচন ভাবে সদা, সৃদকমলে কমলখি।
সুব্রট-তেতাল।। এইবার ধরেছি চরণকমলে, রক্ষ রক্ষ গো বিমলে, তোমার আদালতে আরজি দিলাম দেখবো কি কপালে, ফলে | বারে বারে ওগে শুমা, শমন হারায় মোকদম, স্বমনে তাই ডাকি তোমায়ু মা বলে, থাকতে সকলে, রসিক এই বলে, মুক্তি ডিক্ৰী দিয়ে মুক্ত কর মা, ফিরণে না আর নিম্ফলে ॥
মুলতান-একত্তালা
কাজ কি কাশীঘৃত্যু ভাই, যদি ধ্যানে হরির চরণ পাই ॥ হরির চরণ তুল্য কাশী মৃত্যু নয়, যে চরণ ঘৰ্ম্মে গঙ্গা তীর্থ হয়, যে পদ ভেবে ধ্যানেশ্বাশান ভনে,
ভব মাখেন ছাই ॥ যার হরি পদে মন, ধন্ত সেই জন, বাসনা দিয়েছে বিসর্জন, যথা অভিলাষী, সেইখানে তার কাশী, সেইখানে তার মধুর বৃন্দাবন, রসিক কয় অমূল্য, ইরির চরণ তুল্য,
ভবে কিছুই নাই।
றை
পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৫১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
