পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৫৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা মহিমারঞ্জন রায় । দেখে বৃদ্ধ ব্রহ্মচারী, নিৰ্ভয়েতে ওগো নারি, ভিক্ষা নিয়ে নিজ হন্তে, দয়া ধৰ্ম্ম রাখ আজি দয়াবতি | বসন্ত বাহার-একতাল।। ও রে যোগী চোর, মরণের তোর, * বিলম্ব দেখিনে আর । হরিলে আমারে, পেয়ে এক ঘরে, চোর তোর হবে প্রতীকার। ওরে দশানন, এই আচরণ, কেবল রে তোর পত্তন কারণ, শ্রীরামের নারী, যোগিবেশে হরি, সবংশে হবি সংহার ॥ ও রে দুষ্টমতি, স্বামী ভিন্ন সতী, কতু অন্ত প্রতি করে না মন ;— কৌশল্য-নন্দন, বিনে অন্ত জন, ভ্ৰমেও মনেতে হবে না সীতার ॥ গৌরী—অাড়া। আমার প্রাণের সীতে না দেখেরে, হেরি সব শূন্তময়। সীতে বিন জীবন যাবে ফিরে যাব না আলয় ॥ পেয়েছিলাম ছত্ৰদণ্ড, কৈকয়ী মা দিলে দগু, কখন কি ওরে লক্ষ্মণ, দণ্ডের উপর দণ্ড সয় । হায় রে সে জানকীরে, একাকিনী পেয়ে স্বরে, কে হরিল ওরে ও ভাই, হইয়ে নিদয় ॥ কালেংড়–অাড়খেমটা । কেন বৃথা ভাব রাজা ভীমসিংহ রায় । প্রাণের পদ্মিনী তোমার আমারে যে চয় ॥ এখন পদ্মিনী সতী, আমাকে করিত্বে পতি, তোমার কি হৰে গতি, বুঝা নাহি যায়। নারী কভু নিজ নয়, জেন রাজা সুমিশ্চয়, পদ্মিনী তার পরিচয় দিলে জনা যায়ু ॥ বিভীষ—আড়া। ওহে মহারাজ আর যুদ্ধ করা অকারণ। অগ্নিকুণ্ডে প্রবেশরেধি আতি কুলমান। | তুমি হ’লে অবিশ্বাসী, 9\ ל8 দুষ্ট আলাউদ্দিন, হইয়াছে জ্ঞানহীন, পরনারী বলে নেবে করিয়াছে পণ। এই দেহে প্রাণ থাকিতে, সাধ্য করে আছে ছুইতে, নারীধৰ্ম্ম না যাইতে, পদ্মিনী দিবে হে প্রাণ ॥ αναππη কালেংড়া—আড়খেম্ট। ছাড় ছাড় রাজ্য-আশা ভূপতি লক্ষ্মণ, অবষ্ঠ বিজয়ী হবে দুরন্ত যবন। শাস্ত্রের লিখন ভূপ, হবে তার অমুরূপ, বৃথা কেন যুদ্ধ করে হারাবে জীবন ॥ রত্নভূমি বঙ্গদেশ, অত্যাচারে হবে শেষ, মুখের রবেন। লেশ, কেবল পতন। ওহে নৃপ লক্ষ্মণ, কর শীঘ্র পলায়ন, নতুবা যবন-হস্তে হইবে নিধন ॥ রামকেলী—যৎ । কেন মিরজাফর আজি যুদ্ধে তোমার মন নাই। দেখিয়ে তোমার ভাব মনে বড় শঙ্কা পাই । অন্ততর সেনাপতি, মোহন লাল মহামতি, করিছে বিষম যুদ্ধ দেখিবারে পাই । শুন ওহে বীরবর, বীর-ধৰ্ম্ম রক্ষা কর, হ’ব কারাগারবাসী, রাজা ধন সব যাবে ভেৰে মরি তাই। বারোয়া-লক্ষেীষ্টুংরি। কপালে কি আমার, ছিলরে হয়। মিরণের হাতে আজি প্রাণ যে যায়। বেঁধে দিল ফকির বঙ্গ-অধীশ্বর, ' কি করি নিজদোষে এবে নিরুপায়। পেয়ে রাজ্য-ভার, বহু অত্যাচার, করেছি বলে কেহ হ’লে না সহায় । যে মিরজাফর, হয়ে ষোড়-কর, থাকিত নিরস্তর আমার সভায়। আজ তার সন্তান, বধিছে মম প্রাণ, অঞ্চ এই দণ্ড মোর বিধির ইচ্ছায়।