পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৫৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8৯২ दांणांशैौद्र नंॉन । ৰাগানে সেই নাটক মহাসমারোহের সহিত প্রথম অভিনীত হয়। এই মূত্রে মাতৃভাষার প্রতি মধুসূদনের অল্পে অল্পে অনুরাগ জন্মিতে থাকে। উক্ত নাট্যশালার জন্য ইনি ক্রমে ক্রমে "শৰ্ম্মিষ্ঠ৷” পদ্মাবতী” “একেই কি বলে সভ্যতা” “বুড়শালিকের ঘাড়ে রে’,” প্রভৃতি নাটক ও প্রহসন রচনা করেন। ১৮৬০ খৃষ্টাব্দের মে মাসে ইহার “তিলোত্তম-সম্ভব” নামক প্রথম কাব্য প্রকাশিত হয়, তার পর একে একে “মেঘনাদ বধ” “কৃষ্ণকুমারী নাটক” “ব্ৰজঙ্গন,” ও “বীরাঙ্গনা” কাব্য প্রকাশিত হয়। তখন ইহঁর অসাধারণ কবিত্ব সৌরভে দিগদিগন্ত পূর্ণ হইয়া যায়। ১৮৬২ খৃষ্টাব্দের ৯ই জুন ব্যারিঞ্জর হইবার উদেণ্ডে ইনি ইংলণ্ড যাত্রা করেন। প্রবামে অবস্থিতি কালেই ইহার ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী” রচিত হয়। ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসে ব্যারিঙ্গরিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া ইনি স্বদেশে প্রত্যাগত হন। কিন্তু এই ব্যবনায় ইহঁর কিছুই উপার্জন হুইল না। অবশেষে অশেষ দারিদ্র্যযন্ত্রণ ভোগ করিয়৷ ১২৮০ সালের ১৬ই আষাঢ় রবিবার ইনি পরলোকে গমন করেন। ললিত-বিভাষ—আড়াঠেকা । যেয়ে না বুজনি আজি লেয়ে তারাদলে। গেলে তুমি দয়াময়ি এ পরাণ যাবে। উদিলে নিৰ্দ্দয় রবি উদয় অচলে, নয়নের মণি মোর নয়ন হারাবে। বার মাস তিতি, সতি নিত্য অশ্রুজলে, পেয়েছি উমায় আমি কি সস্তুন ভাবে; তিনটি দিনেতে, কহ লে। তারা কুস্তলে এ দীর্ঘ বিরহ-জাল এমন জুড়াবে। তিন দিন স্বৰ্গ দীপ জ্বলিতেছে স্বরে দূর করি অন্ধকার ; শুনিতেছি বাণী— মিষ্টতম এ স্বষ্টিতে এ কর্ণ-কুহরে। দ্বিগুণ আঁধার ঘর হবে, আমি জানি, নিবাও এ দীপ যদি—কহিলা কাতরে । নবমীর নিশা শেষে গিরিশের রাণী ॥ ভৈরবী-বtহার—ষS । মধুরবসন্ত আগমনে, মধুপ গুঞ্জরে সম্বনে, করি মধুপান মুখে ফুলকাননে। কত পিকবরে, পঞ্চম কুহরে, মনোহর সে ধ্বনি শ্রবণে ॥ উপবন যত, দেীরভ-রাসত, সতত মলয়-সমীরণে । সুখের কারণ, বসন্ত যেমন, না হেরি এমন ত্রিভুবনে ॥ ৰারোয়া—ঠংরি। পিরীতি পরম রতন। বিরহে পারে কি কভু হরিতে সে ধন ॥ কমলে কণ্টক থাকে, তবু ভালবাসে লোকে, কে ত্যজে বিচ্ছেদ দেখে, প্রেম-আকিঞ্চন। মিলন বিচ্ছেদ পরে, দ্বিগুণ মুখের তরে, যথা অমানিশাস্তরে শশীর শোভন ॥ খাম্বাজ—মধ্যমান । কেন হেরেছিলাম তারে। বিষম প্রেমের জ্বালা বুঝি ঘটিল আমারে। সহজে অবোধ মন, না জানে প্রেম কেমন, সাধে হয়ে পরাধীন, নিশিদিন ভাবে পরে। শরমে মরম ব্যথা, নারি প্রকাশিতে কোথা, জড়ের স্বপন যথা, অস্তরে মরি গুমরে ॥ সোহিণী-বাহার। আমি ভাবি যার ভাবে সে ত তা ভাবে না। পোড়ে প্রাণ দিয়ে পরে, হলো কি লাঞ্ছন ॥ করিয়ে মুখেরি সাধ, একি বিষাদ ঘটনা। . বিষম বিবাদী বিধি, প্রেম-নিধি মিলিল না। ভাব লাভ আশা করে, মিছে পরেরি ভাবনা। খেদে আছি ম্ৰিয়মাণ বুঝি প্রাণ রহিল না। l