পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৯৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4 চিরঞ্জীব শৰ্ম্ম । হে বিস্তে করুণাসিন্ধু, দিয়ে কৃপাবার-বিন্দু কর হে পাপ মোচন। পাপ-ভারাক্রাস্ত হয়ে, ডাকি নাথ কাতর-হৃদয়ে, পার কর ভবসিন্ধু দিয়ে অভয় চরণ। তুমি নাথ পরম দাল, স্নেহময় ভক্তবৎসল, পাপীর দুঃখে নহ পিতা কখন উদাসীন। ও হে অগতিরগতি, করি ও পদে মিনতি, থাকে যেন ভক্তি নাথ তোমাতে চিরদিন ॥ আলেয়া—ঠ’রি । গভীর বিষাদে, বিষম প্রমাদে, সোণীর ভারত আঁধার হইল । আহার বিহনে, মরিছে পরাণে, দরিদ্র অনাথ মানব সকল । বিকট বদন, করিয়ে ব্যদান, ভীষণ আকাল নিকটে আইল। কাতর ক্ষুধায়, কাদিছে তনয়, দেখিয়ে মায়ের হৃদয় ফাটিল। ভাবনায় অবশ, দুঃখেতে নিরাশ, করিছে হাহাকার হইয়ে আকুল । সঞ্চিত সম্বল, সকলি ফুরাল, নিবাতে দারুণ জঠর-অনল । বল হে কি রূপে, মুখেতে ঘুমাবে দ্বারে যে ভিখারী জীবন ত্যজিল । এ ঘোর বিপদে, কে পারে বাচাতে, দয়ালু ঈশ্বর ভরসা কেবল । মল্লার—আtড়া । কেন হে বিলম্ব আর সাজ সত্যের সংগ্রামে। সেনাপতি বিশ্বপতি সহায় রণে ॥ কুর ব্ৰহ্মনাম ধ্বনি, কাপায়ে গগন মেদিনী, বিশ্বাসের পরাক্রম দেখাও জীবনে। ব্ৰহ্ম-কৃপা হি কেবল, কর সঙ্গের সম্বল, শান্তি-অসি করে ধরি বিনাশ রিপুগণে ; লোক-ভয় পরিহরি, চল চল ত্বর করি প্রভু-আজ্ঞা পালন কর প্রাণপণে। 2 বিপদ-কালের বন্ধু, ヶ84 | সাধিতে পিতার কাজ, পর হে সমর-সাজ, বাজাও বিজয়ভের গভীর গরজনে। বিবেক নিৰ্ম্মল হ’য়ে, বল অকপট হৃদয়ে, জীবের নাহি আর গতি, দয়াল্‌-নাম বিহনে। বিভাব-একতাল।। ও হে দীননাথ কর আশীৰ্ব্বাদ, এই দীনহীন দুৰ্ব্বল সস্তানে । যেন এ রসন, করে হে ঘোষণ, সত্যের মহিমা জীবন-মরণে ; তোমার আদেশ সদা শিরে ধরি, চির ভূত্য হয়ে র’ব আজ্ঞাকারী: নিৰ্ভয় অন্তরে, বল’ব দ্বারে দ্বারে, মহাপাপী তরে দয়াল নামের গুণে ॥ অকপট দে তোমারে সেবিব, পাপের কুমন্ত্রণ আর না শুনিব, যা হ’বার তাই হবে, যায় প্রাণ যাবে, তব ইচ্ছা পূর্ণ হো’ক এ জীবনে । নিত্য সত্য ব্রত করিব পালন, মন্ত্রের সাধন কি শরীর পতন, ” ভয়-বিপদ-কালে, ডাকৃব পিতা বলে, লইব শরণ ঐ অভয় চরণে ॥ দেশ মল্লার—একত্তাল । হয় মা এ কি করিলি । যে ধনে ভারত ছিল ভাগ্যবস্তু, দিয়ে সে ধন কেন কেড়ে নিলি ॥ নাহি কি গো তোর কিছুই মমতা, লাগে না কি প্রণে পুত্ৰশোক-ব্যথা, আচাৰ্য্য কেশবে পাঠাইয়ে ভবে, কোথায় আবার তারে লুকাইলি । যুগ যুগান্তরে দুই এক জন, জনমে এমন মানব-রতন, বিলায় জগতে হরি-প্রেমধন,ভক্তগণ সঙ্গে মিলি ; আহা কোথা গেল নব বৃন্দাবন, লীলা রস-রঙ্গ প্রেমের মিলন, | গড়ে কত করে নিজ হাতে ধরে, কেন আবার শেষে ভেঙ্গে দিলি ॥ |