পাতা:বাঙ্গ্‌লার বেগম - ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গ্‌লার বেগম

মীরজাফরের পুত্র মীরণ আলিবর্দ্দী-বেগম, তাঁহার দুই কন্যা ঘসিটী ও আমিনা, সিরাজ-পত্নী লুৎফুন্নিসা ও তাঁহার শিশুকন্যাকে বন্দী করিয়া জাহাঙ্গীর নগরে প্রেরণ করেন এবং তাঁহাদিগকে গােপনে হত্যা করিবার জন্য তথাকার শাসনকর্ত্তা জেসারৎ খাঁর উপর পরওয়ানা পাঠান; কিন্তু সদাশয় শাসনকর্ত্তা এ কার্য্যে অসম্মতি জ্ঞাপন করিলে, মীরণ তাঁহার একজন বন্ধুর প্রতি এই কার্য্যের ভার অর্পণ করেন। ঘসিটীর ও আমিনার শোচনীয় পরিণাম—তাহাদের সলিল-সমাধি ও নির্ম্মম মৃত্যু-যন্ত্রণা আমাদিগের সহানুভূতির উদ্রেক করে। অত্যাচারের কঠিন হস্ত হইতে আলিবর্দ্দী-বেগম ও লুৎফুন্নিসা কি প্রকারে অব্যাহতি লাভ করিয়াছিলেন ও কেমন করিয়া বেগম-সাহেবা মুর্শিদাবাদে ফিরিয়া আসিয়াছিলেন, ইতিহাস তাহার কোন সন্ধানই বলিয়া দিতে পারে না।

 ভাগ্যলক্ষ্মীর বিপর্যয়ে, বাঙ্গালার নবাব-বেগমের শােচনীয় পরিণাম দেখিয়া, আলিবর্দ্দীর পদতলে-সমাহিতা বেগম-সাহেবার কবরের উপর দুই বিন্দু অশ্রু না ফেলিয়া থাকিতে পারা যায় না।

৩৪