পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামুনের মেয়ে २० বাবা, আরনিকা ছ’ফেঁাটা— প্রিয়বাবু মেয়ের প্রতি চাহিয়া একটু হাস্ত করিয়া বলিলেন, ন মা, না। এ আরনিক কেস্ নয়। বিপনে হলে তাই দিয়ে দিত বটে, চার ফেঁাটা একোনাইট তিরিশ শক্তি। ছ’ঘণ্টা অস্তুর খাবে। সন্ধ্যা দুই চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া কহিল, একোনাইট বাবা ? ই মা, হঁ। মৃত্যুভয় | পড়ে মরবো । সিমিলিয়া সিমিলিবস্ কিউরেস্টার ! মহাত্মা হেরিং বলেচেন, রোগের নয়, রুগীর চিকিৎসা করবে। মৃত্যুভয়ে একোনাইট প্রধান। বিপনে হলে—হুঃ—তবু, তবু হারামজাদ চিকিৎসা করতে আসে। রামময়, শিশি নিয়ে যাও আমার মেয়ের সঙ্গে। ছ’ঘণ্টা অস্তুর চারবার খাবে । ও-বেলা গিয়ে দেখে আসবো। ভাল কথা, পরাণে যদি এসে বলে, কৈ দেখি কি দিলে ? খবরদার শিশি বার ক'রো না বলে দিচ্ছি। হারামজাদ ঢকু ঢক্‌ করে হয়ত সবটা খেয়ে ফেলে আবার ক্যাষ্টর অয়েল রেখে যাবে । উঃ–পেটট মুচড়ে মুচড়ে উঠছে যে ! রামময়কে ঔষধ দিতে সন্ধ্য উঠিয়া দাড়াইয়াছিল, ভয়-ব্যাকুল কণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ক্যাষ্টর অয়েল অভ্যতখানি ত সব খেয়ে আসোনি বাবা ? নাঃ—উঃ—গাড় টা কষ্ট রে ? তবে বুঝি তুমি— না-না—না—দে না শীগগির গাড়টা। পোড়া বাড়ীতে যদি কোথাও কিছু পাওয়া যাবে! তবে থাক গে গাড় বলিতে বলিতেই প্রিয়বাবু উদ্ধশ্বাসে খিড়কীর দ্বার দিয়া বাহির হইয়। গেলেন । রামময় কহিল, দিদিঠাকরুণ, ওষুধট। তা হলে— সন্ধ্য। চকিত হইয়া বলিল, ওষুধ ? হুঁ, এই যে দিই এনে ।