পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামুনের মেয়ে ويانا কহিলেন, পানটা আর চিবোস্নে সন্ধ্যে, ওটা মুখ থেকে ফেলে দিয়ে যত পারিস হাসি-তামাসা কর। বলিয়াই কাহারও প্রতি দৃষ্টিপাতমাত্র না করিয়া দ্রুতপদে ঘরে চলিয়া গেলেন । অকস্মাৎ কি যেন একটা কাণ্ড ঘটিয়া গেল ! অরুণ বজাহতের হায় নিশ্চল নির্বাক্ হইয়া রহিল এবং সন্ধ্যা বিবর্ণ হইয়া উঠিল । কিছুক্ষণের জন্য সায়াহের আকাশতল হইতে সমস্ত আলো যেন একেবারে নিবিয়া গেল। কয়েক মুহূৰ্ত্ত এইভাবে থাকিয়া, মুখের পান ফেলিয়া দিয়া, সহসা কাদো-কাদেী হইয়া বলিয়া উঠিল, কেন তুমি এ-বাড়ীতে আর আসে। অরুণদা ? অামাদের সর্বনাশ না করে কি তুমি ছাড়বে না ? প্রথমটা অরুণ একটা কথাও কহিতে পারিল না, তার পরে ধীরে ধরে শুধু বলিল, মুখের পান ফেলে দিলে সন্ধ্যা—আমি কি সত্যিই তোমার অস্পৃশ্য ? সন্ধ্যা হঠাৎ কাদিয়া ফ্রলিয়া বলিল, তোমায় জগত নেই-—ধৰ্ম্ম নেই ; কেন তুমি আমাকে ছুয়ে দিলে ! আমার জাত নেই ? ধৰ্ম্ম নেই ? না নেই । তুমি বিলেত গেছে।--তুমি স্লেচ্ছ । সেদিন ম৷ তোমাকে পেতলের ঘটিতে জল খেতে দিয়েছিল, তোমার মনে নেই ? অরুণ দীর্ঘনিশ্বাস ফলিয়া কহিল, না, আমার মনে নেই । কিন্তু তোমার কাছে আজ তামি অস্পৃশু, য়চ্ছ ! সন্ধ্যা চোখ মুছিয়া কহিল, শুধু আমার কাছে নয়, সকলের কাছে ! শুধু আজ নয়, যখন থেকে কারও নিষেধ শোনোনি-- বিলেভ চলে গেলে, তখন থেকে। তারুণ কহিল তামি মনে করেছিলাম--