পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9) লামুনের মেয়ে জগদ্ধাত্রী বলিলেন, তাই একেবারে বদ্ধ পাগল হয়ে গেলেও যে বঁচি, ঘরে শেকল দিয়ে ফেলে রেখে দি । এ যে ছয়ের বরিজালিয়ে পুড়িয়ে একেবারে খাক করে দিলে! এই বলিয়। তিনি চোখের কোণটা আচলে মূছিয়া ফেলিলেন । গোলক সহানুভূতির স্বরে বলিলেন, তাই বটে, তাঙ্গ বটে—আমি অনেক কথাই শুনতে পাই । তা তোরাও ত বাপু ধনুকভাঙ্গা পণ করে আছিস, স্বয়ং কাৰ্ত্তিক নষ্টলে আর মেয়ের বিয়ে দিলি না । আমাদের ভারি কুলানের ঘরে তা কি কখনো হয় ? না, তয়েচে বাছ ? শুনিস্নি, তখনকার দিনে কত কুলীনকে গঙ্গাযাত্রা করেও কুলনের কুল রক্ষা করতে হতো ? মধুসূদন, তুমিষ্ট সত । জগদ্ধাত্রী ক্ষুব্ধ হইয়া বলিলেন, কে তোমাকে বলেচে মামা, জামাই আমার ময়ূরে চড়ে না এলে মেয়ে দেৰো না ? ময়ে আগে, না কুল আগে ? বংশে কেউ কখনো শূন্দুর বলে কায়েতের ঘরে পা ধুলে না, আর আমি চাই কাৰ্ত্তিক ! ছোটো ঘরে যাবে না এই আমার পণ—তা মেয়ে জলে ফেলে দিতে হয় দেবো । গোকুল খুশী হইয়া বলিলেন, এই ত কথা ? অ’চ্ছ, আমি দেখচি । যাক্ট যাই করিয়াও সন্ধ্যা নতশিরে আরক্ত-মুখে দাড়াইয়াছিল। গোলক তাহার প্রতি চাহিয়া সহাস্তে রহস্য করিয়া বলিলেন, কাৰ্ত্তিক যখন চাসনে জগো, তখন মেয়েকে না হয় আমার হাতেই দে না ! সম্পর্কেও বাধবে না, থাকবেও রাজরাণীর মত। কি বলিস্ নাতনী —পছন্দ হবে ? অম্বা সময়ে হইলে সন্ধ্যা পরিহাসে যোগ দিতে পারিত, কিন্তু অরুণ হইতে আরম্ভ করিয়া পিতার প্রসঙ্গে উঠিয়া পড়া পৰ্য্যন্ত সে ক্ৰোধে, দুঃখে, লজ্জায় জ্বলিয়া যাইতেছিল, মুখ তুলিয়া কঠিনভাবে