পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামুনের মেয়ে סאמיא প্রিয় হাতখানা সুমুখে তুলিয়া ধরিয়া কহিলেন, উক্ত তা নয়, তা নয়। নিছক হাইপোকণ্ডিয়া। পাগল নয়—তারে বলে ইনস্তানিটি। তার আলাদা ওষুধ । বিপনে হলে তাই বলে বসত বটে, কিন্তু— জগদ্ধাত্রী কটাক্ষে একবার মেয়ের মুখের প্রতি চাঙ্গিয়া লইলেন এবং স্বামীর অনর্গল বক্তৃতা সহসা দৃঢ়কণ্ঠে থামাইয়া দিয়া অত্যন্ত স্পষ্ট করিয়া বলিলেন, তোমার নিজের কথা আমার শানবার সময় নেই। অরুণ কি দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছে ? প্রিয় বলিলেন, চাইচে । একেবারে ঠিকঠাক কবল আমি গিয়ে— ফের আমি ? অরুণ কবে যাবে ? প্রিয় থতমত খাইয়া বলিলেন, কবে ? আজি ৪ যেতে পারে, কালও যেতে পারে, শুধু হারণে কুণ্ডু ব্যাটী— জগদ্ধাত্ৰী জিজ্ঞাসা করিলেন, হীরাণ কুণ্ডু সমস্ত কিনবে বলেচে ? প্রিয় বলিলেন, নিশ্চয়, নিশ্চয় । সে ব্যাটা ত কেপল ওই চায়। জলের দামে পেলে— জগদ্ধাত্রী পুনরায় প্রশ্ন করিলেন, এ-কথা গ্রামের আর কেউ জানে ? প্রিয় বলিলেন, কেউ না, জনপ্রাণী নয়। কেবল আমি ভাগ্যে— জগদ্ধাত্রী কহিলেন, তোমার ভাগ্যের কথা জানবার আমার সাধ নেই। তুমি শুধু তাকে একবার ডেকে দিতে পারে ? বলবে, তোমার খুড়ীমা এখখুনি একবার অতি-অবশু ডেকেচেন । সন্ধ্য এতক্ষণ পৰ্য্যস্ত একটি কথাও কহে নাই, নীরবে দাড়াইয়। শুনিতেছিল, এইবার সে চোখ তুলিয়া চাহিল। তাতার মুখ অতিশয় পাণ্ডুর এবং কথা কহিতে গিয়া ওষ্ঠাধরও কাপিয়া উঠিল, কিন্তু তাহার পরে সে দৃঢ়কণ্ঠে বলিল, কেন মা তাকে তুমি বার ধার অপমান বা-মে—৫