পাতা:বামুনের মেয়ে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামুনের মেয়ে సె8 পরিবর্তিত হইয়া গেল। কর্কশ-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, এত রাত্রে তুমি ভদ্রলোকের বাড়ীর ভেতরে ঢুকেচ কেন ? এখানে তোমার কি দরকার ? প্রশ্ন শুনিয়া প্রিয়নাথ শুধু আশ্চৰ্য্য নয়, হতবুদ্ধি হইয় গেলেন ; বলিলেন, কি দরকার ? বাঃ—বেশ ত! চিকিৎসা করতে .ক ডেকে পাঠালে ? বাঃ– গোলক চীৎকার করিয়া উঠিলেন, বাঃ— চিকিৎসার তুষ্ট কি জানিস্ হারামজাদ নচ্ছার । কে তোকে ডকেচে ? কোথা দিয়ে বাড়ী ঢুকলি ? খিড়কির দরজা কে তোকে খুলে দিলে ? জ্ঞানদার প্রতি ফিরিয়া কহিলেন, হারামজাদী ! তাই অন্ধ শ্বশুর কেঁদে কেঁদে ফিরে গেল, যাওয়া হ’লে না ? বুড়ো শাশুড়ী মরে— আমি নিজে কত বললুম, জ্ঞানদা যাও, এ-সময়ে তার সেবা কর গে। কিছুতে গেলিনি এইজন্তে ? রাত ছপুরে চিকিচ্ছে করবার জঙ্গে ? দাড়া হারামজাদী, কাল যদি না তোর মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলে গ্রামের বার করে দিই ত আমার নাম গোলক চাটুয্যেই নয়। জ্ঞানদার মাথায় কাপড় নাই—কখন পড়িয়া গেছে জানিতেই পারে নাই—মুখেও কথা নাই, কেবল হুই চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া সে যেন একেবারে পাথর হইয়া রঙ্গিল । গোলক রাসমণির প্রতি চাহিয়া কহিলেন, রাস্ত, চোখে দেখলি ত এদের কাও ? আমি দশখানা গ্রামের সমাজের কৰ্ত্তা, আমার বাড়ীতে পাপ ? এ যে বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা হ’লো রে! রাসমণি নিজেও এতক্ষণ আড়ষ্ট হইয়া বসিয়াছিলেন, কহিলেন, হ’লোই ত দাদা ! গোলক কহিলেন, কিন্তু সাক্ষী রক্টলি তুই । রাসমণি কহিলেন, রইলুম বই কি। আমি বলি, রাত্তিরে ত