পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোগ-পরীক্ষা । >○> ব্যবহার, সাধারণ লোক হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। চিকিৎসক বিবেচনা করিবেন যে, তিনি এক অপরিচিত ভূমিতে পদুপণ করিয়াছেন, অধিবাসীদিগের ভাষা, আচরণ প্রভৃতি পরিজ্ঞাত নহেন, অথচ তাহদের সহিত সম্মিলিত হইয়৷ কাৰ্য্য করিতে হুইবে । কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে সদুত্তর পাইবেন না, আর যদি \বালক কথা কহিতে সক্ষম হইয়। থাকে, তাহার বাক্য কদাপি বিশ্বাসযোগ্য হইবে না । অপরিচিত ব্যক্তি, শিশুর গাত্ৰস্পর্শ করিবা. মাত্র তাহার ভয়সঞ্চার হয়, তাহাতে তাহার শ্বাস প্রশ্বাস চঞ্চল, নাড়ী বেগবতী ও মুখশ্ৰী বিবর্ণ হয় এবং শিশু ক্ৰন্দন করিয়া উঠে। অতএব বাল:চিকিৎসকের শিশু লালনপ্রিয়তা থাকা অতি প্রয়োজনীয় । তিনি সহসা শিশুর গাত্ৰস্পর্শ কদাচ করবেন না, পুষ্প বা অন্যবিধ খেলনা শিশুর হস্তে প্রদান করত তাহার.নিকটবর্তী হইবেন, শিশু সম্বন্ধে যাহা কিছু জিজ্ঞাসা করিবেন, তাহা যেন তাহার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া জিজ্ঞাসা না করেন। যেহেতু বালক কোন. সুত্রে একবার ভীত হইলে যে পর্যন্ত তিনি তথায় থাকিবেন, সে পৰ্য্যন্ত তাহার ভয় দূরীভূত হুইবে না, বিশেষতঃ নাড়ী বা বক্ষঃ পরীক্ষা করিতে হইলে শিশুর আতঙ্গ রদ্ধি হইয়া, তাহার ক্ৰন্দনবেগ অনিবাৰ্য হইবে, তাহাতে সকল চেষ্টাই বিফল হইবে । চিকিৎসকের প্রধান কাৰ্য্য এই যে, যাহাতে শিশু কোন প্রকারে ভয়াৰ্ত্ত না হয়, তাছার যত্ন করেন, যেহেতু তিনি একবার পরিচিত ও বিশ্বাসভাজন হইলে সুচারুরূপে