পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোগ-পরীক্ষণ । ృ&& এতদ্বারা স্পষ্ট বোধ হইবে যে, নাড়ী-পরীক্ষার ফল অতি সামান্য, কিন্তু কতকগুলি এমত পীড়া আছে যাহাতে ইহার উপকারিত্ব অতি সহজে হৃদয়ঙ্গম করা যায়, যথা—প্রবল মস্তিষ্কোদক রোগে নাড়ী অত্যন্ত অসম ছয় এবং একবার ৮০ ও পরক্ষণেই ১৫০ হইতে দেখা যায়, ইত্যাদি। ৪ । জিহ্ব ও দন্তমাড়ি । এই দুইটি পরীক্ষা সৰ্ব্ব শেষে করা উচিত, যে হেতু ইহাতে শিশুর প্রতি যত বল প্রকাশ ও কষ্ট প্রদান করা যায়, তত অন্যান্য পরীক্ষায় যায় না । কিন্তু শিশু ক্ৰন্দন করিলে দন্তমাড়ি প্রভৃতি বিনা আয়াসে. পরীক্ষা করা যাইতে পারে। যদি এইরূপ সুযোগ না হইয় উঠে, শিশুর ওষ্ঠাধর পর্শ করিব মাত্র সে মুখ ব্যাদান করিবে এবং তৎক্ষণাৎ মুখ মধ্যে অঙ্গুলি প্রদান করত জিহব পরীক্ষণ করিতে হুইবে । শিশুর জীবন শিখা অতি সামান্য হেতুতে নিৰ্বাণ হয়। এই সময়ে পীড়া মাত্রেই হয়ত সহসা আক্রমণ করে, নচেৎ অজ্ঞাতসারে স্বল্প পরিমাণে শরীর ধংস করিতে থাকে। অজ্ঞ জনক পীড়ার প্রাথমিক লক্ষ গুলি অনুভব করিতে অক্ষম হওয়াতে পীড়া অতি দুরূহ ও অনিবাৰ্য্য না হইলে র্তাহার অন্তঃকরণ জাগরিত হয় না এবং তখন তিনি রোগের প্রতিবিধান করিতে যত্নবান হয়েন । অতএব পিতার কৰ্ত্তব্য এই যে, যে২ উপায়দ্বারা শিশুর বিকৃত ভাব অবগত হওয়া যায় তাহা বিশেষ রূপে পরীক্ষণ করেন । বলিতে কি, যে শিশু প্রত্যুষে সর্বাবয়বে নিরোগ ছিল, মধ্যাহূ কালে অতি প্রবল পীডীয় অভিভত হইয়া পঞ্চত প'ষ্টতে দেখা গ'চে ।