পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫৬ বালচিকিৎসা গগুদেশের কতিপয় কণ্ড সংযত হইয়া অপেক্ষাকৃত এক বৃহৎ কণ্ডুতে পরিণত হয়। দুই কণ্ডুর মধ্যস্থিত ত্বকের স্বাভাবিক বর্ণ বিনষ্ট হয় না। জ্বরীয় লক্ষণ সকল একবার হ্রাস হইয়। পুনর্বার বৃদ্ধি হয় এবং তৎসঙ্গে হুনিবাৰ্য্য উদরাময় হইয়া যার পর নাই শিশুকে কষ্ট প্রদান করে। এই উপসর্গ প্রবল হইলে শিশু ক্ষণে২ মলত্যাগ করে, এবং কখন২ এই মলের সহিত শ্লেয়াও রক্ত নির্গত হয়। ২৪ ঘণ্টামধ্যে ১০ । ১৫ বার উক্ত প্রকার রেচন হইলে জীবন বিনষ্ট হইবার সম্ভাবনা, অতএব এরূপ সংঘটন হইলে তাহা ত্বরায় নিবৃত্ত করা প্রয়োজন। এই সময়ে বক্ষঃপরীক্ষণ যন্ত্রদ্বারা বক্ষঃ পরীক্ষা করিলে শ্বাস-নলীয় শ্নৈয়িক ঝিল্লীতে শ্লেষ্মাধিক্য দেখা যায়। শীশবৎ, কখন২ কেশঘর্ষণবৎ শব্দ এতদ্বারা অনায়াসে অনুভব করা যাইতে পারে। বায়ুপথ হইতে যে শ্লেষ্মা নিঃসৃত হয়, তাহ প্রথমে নিৰ্ম্মল, স্বচ্ছ, তৎপরে গাঢ়, মওলাকার, ঈষৎ হরিদ্বর্ণ এবং পরস্পর অসংলগ্ন । - (৩) উপশম । পীড়া আরোগ্য হইতে আরম্ভ হইলে সপ্তম দিবসে মুখমণ্ডল হইতে নিম্ন ভাগের কওঁ সকল ক্রমশঃ শুষ্ক হইতে থাকে এবং এই সময়ে উদরাময় হইলে অনেক উপকার দর্শে। কচিৎ পীড়া শান্তি হইবার সময়ে জ্বরীয় লক্ষণ সকল আবার প্রবল হয়। কণ্ডুগুলি বিলুপ্ত হইলেও যোজক ত্বকের ঈষৎ প্রদাহ (Conjunctivitis), পীনস্, বধিরতা এবং উৎকাশি ৭ বা ৮ দিবস পৰ্য্যন্ত থাকে।