পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৪ বালচিকিৎসা | তাহাতে যাবতীয় শরীর অসুস্থ ও তৎসঙ্গে কতিপয় আভ্যন্তরিক ঘন প্রকোষ্ঠ (Solid Wescera) ব্যাধিগ্রস্ত হন। অস্থিবিকৃতি বলিলে যে অস্থি ব্যতীত অন্যান্য যন্ত্রে পীড়া হয় নাই, এরূপ বিবেচনা করিতে হুইবে না । কারণতত্ত্ব। যে যে কারণে ভক্ষিত দ্রব্যের সমীকরণ (Assimilation) এবং শরীর-পরিপোষণ-ক্রিয়া বিনষ্ট হয়, তাহাই এই পীড়া সহজে উৎপন্ন করে, এবং এই হেতু ধনাঢ্যদিগের মধ্যে যাহারা রুগ্ন, তাহদের সন্তানগণ এই পীড়ায় অভিভূত হয়, কিন্তু বলিতে গেলে,- বালাস্থি-বিকৃতি দীন দুঃখীদিগেরই হইয়া থাকে, যেহেতু ইহারাই অসম্পূর্ণও অখাদ্য ভোজন, দূষিত বায়ু সেবন এবং আর্দ্র তমসাচ্ছন্ন, বায়ু-চলাচল রহিত, সমল কুটারে বাস করিয়া এই রোগের আধার স্বরূপ হইয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত অতিশয় রতিক্রিয়া, উপদংশ, গণ্ডমালা, অথবা তাস্বাস্থ্যকর কার্য্য দ্বারা দেহস্বভাব বিকৃত হইলে ঔরস জাত সন্তানগণও রোগাক্রান্ত হইতে পারে। লক্ষণ । লক্ষণসকল কোন সময়ে প্রকাশমান হয়, তদ্বিষয়ে চিকিৎসকদিগের ঐক্য নাই। কেছ২ বলেন, শিশু গর্তে থাকিতেই এই পীড়া অনুভব করা যাইতে পারে । ডাং কোপৃল্যাও বলেন যে, প্রথম দন্তোম্ভেদ কালে এই পীড়া প্রায় হইয়া থাকে এবং ৬ কিম্বা ৭ মাস হইতে তিন বর্ষ বয়ঃক্রম কালেই ইহা হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা। ডাং ডংলিসমৃ বিশ্বাস করেন যে, যে শিশুর অস্থি বিরুত হইবে, তাহার পূর্ব লক্ষণসকল জন্মাবধিই বর্তমান থাকে, কিন্তু