পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপদংশ । `Lථ চিকিৎসকগণ দেখিয়াছেন যে, উপদংশ রোগে প্রপীড়িত স্বামিীণ যে স্ত্রীর সংসর্গে সন্তান লাভ করিয়াছেন, সেই স্ত্রী উক্ত রোগে মুক্তি পাইলেও তদগর্ভজাত সস্তানগণ নিষ্কৃতি পায় নাই। নিম্ন লিখিত উদাহরণ এবিষয়ের যথেষ্ট প্রমাণ হুইবে । মিঃ ডবলিউ উপদংশ রোগে আক্রান্ত হুইয়। পারদ ব্যবহারে আরোগ্যলাভ করেন, তৎপরে উtহার স্ত্রী নিকটবর্ভিনী হুইয়া অত্যপ দিবস মধ্যে সসত্ত্বাবস্থা প্রাপ্ত হইলেন এবং যে পৰ্য্যন্ত র্তাহীর সন্তান ভূমিষ্ঠ ন হইল সে পৰ্যন্ত উছার পীড়ার লেশমাত্র ছিল না। তিনি যে কন্যাটি প্রসব করেন, তিন সপ্তাহ বয়ঃক্রমকালে তাহার হস্তে, নিতম্বে এবং যোনিদ্বারে ক্ষত দৃষ্ট হইল ও পায়ের স্থানে২ তাম্রবর্ণের চিহ্ল সকল দেখিতে পাওয়া গেল । পীড়ার প্রতিবিধান করণণশয়ে বহুতর যত্ব করিয়াও আরোগ্য না হওয়াতে পারদ ঘটিত ঔষধ ব্যবহারে যথেষ্ট উপকার দশিল । ২ । কোন ব্যক্তির পূৰ্ব্বে উপদংশ রোগ হইয়াছিল, কিন্তু স্ত্রী সংসর্গ কালে উক্ত রোগের কোন লক্ষণ বৰ্ত্তমান না থাকিলেও তাহারঔরসজাত সন্তান পীড়িত হইতে পারে কি না ? পীড়ার অনুষঙ্গিক লক্ষণ সকল বর্তমান থাকিলে ইহার প্রতিপাদনীয়তা (Communicability) যত অধিক থাকিবে লক্ষণ সকলের অবর্তমানে তদ্রুপ থাকিবার সম্ভাবনা নাই, এবং এই জন্যই গ্রন্থকারদিগের মতের ঐক্য নাই । ফলতঃ এই অবস্থাতে সন্তানাদি হইলে তাছারা যে নিষ্কৃতি পাইবে তাছার কিছুমাত্র আশা করা যায় না । এ স্থলে বলা কৰ্ত্তব্য ষে, মসুরিকা প্রভূতি পীড়ার ন্যায় ইছাও বিভিন্ন অবস্থায় পরিণত হয়, কিন্তু এক অবস্থা