পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O32 বালচিকিৎসা | কারণ। সদ্যঃপ্রস্তুত শিশুর পাগুরোগ একটি সামান্য পীড়। প্রসবকালে চৰ্ম্মে যে রক্ত সঞ্চিত হয়, তাছা বিকৃত হইয়া পীতবর্ণ ধারণ করে । এই বর্ণ-বৈলক্ষণ্য অধিক কাল থাকে না, প্রায় এক সপ্তাহ মধ্যে অন্তৰ্হিত হয়। দৌৰ্ব্বল্য, অকাল জন্ম এবং ফুসফুসের হীন বিস্তার জন্য ইহা হইয়। থাকে, তাছাতে যকৃতে কোন পীড়া না থাকিলেও পাণ্ডুরোগ হইবার সম্ভাবনা। আবার দূষিত বায়ু সেবনে, শীতল বায়ু সংস্পর্শে, চর্যের কার্ষ্য নিয়মিতরূপে সম্পন্ন না হইলে, কিম্বা পরিবেষ্ট বা নাভ্যশিরার (Umbitical Weim) প্রদাহ হইলে, পাণ্ডুরোগ হইতে দেখা যায় । উপরে যে সকল কারণ বর্ণিত হইল, তাহ সামান্য, তারও গুরুতর কারণে পাণ্ডুরোগ হইতে পারে ; যথা—পিত্ত ও পিত্তকোষ প্রণালীর জন্মাবধি অভাব বা বিরূপ, ঘনীভূত পিত্তদ্বারা উক্ত প্রণালীদ্বয় রুদ্ধ, ইত্যাদি । কিন্তু শিশুর বয়স হইলে এ সকল কারণ বর্তমান থাকিবণর সম্ভাবনা নাই । এ সময়ে পাণ্ডুরোগ হুইলে তাহার অন্যতর কারণ অনুসন্ধান করা উচিত । যুবা ব্যক্তিদিগের যে২”কণরণে এই পীড়া হয়, বয়ঃপ্রাপ্ত বালকদিগেরও সেই২ কারণে হুইয়া থাকে। যথা— (ক) পিত্ত প্রণালীর অবরোধ জন্য দ্বাদশাঙ্গুলাস্ত্রে । ( Deodenum ) পিত্ত প্রবাহ হইতে পারে না, তাছাতে নিঃসৃত পিত্ত পুনর্বার শোণিতে অশোষিত হইয়। পীড়া উৎপাদন করে । পিত্ত প্রবাছ অবরোধ হুইবার কারণ বিবিধ প্রকার |