পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3&డి বালচিকিৎসা | পরিবেষ্ট, ফুস্কুল, অন্ত্র, উদর-প্রাকার, বক্ষোন্তবেষ্ট, হৃদ্বেষ্ট, ইত্যাদি । অন্ত্র ও উদর প্রাকার ব্যতীত উপরি উক্ত স্থানে ঐ তরল পদার্থ নির্গত হইলে তাহদের প্রদাহ জন্য শিশুর মৃত্যু হইয়া থাকে। এই পীড়া কত কাল থাকে তাহ বলা যায় না। ডাং ফেরিকস্ বলেন যে, ইহা ৩০ বৎসর পর্য্যন্ত থাকিয়া কোন না কোন রূপে শেষ হয় । রোগ-নির্ণয় । শরীরে অধিক দিন পীড়া না থাকিলে অনুভব হয় না। পরিষ্কার, সমান, কোৰিকার্বুদ যাহা ক্রমশঃ বৃদ্ধি হয়, অথচ তৎসঙ্গে জ্বর, বেদন বা অন্য কোন অসুখ অনুভব হয় না, তাছাই এই পীড়ার প্রধান লক্ষণ । যকৃৎস্ফোটক, যকৃতের কর্কট রোগ, পিত্ত প্রণালীর বিরদ্ধি, নাড়ীর স্ফীতি (Aneurism) বক্ষোন্তবেষ্ট মধ্যে সিরমৃ সঞ্চয়, ইত্যাদির সহিত ভম জন্মাইতে পারে, কিন্তু ঐ সকল পীড়ার বিশেষ লক্ষণ অনুসন্ধান করিলে সংশয় রহিত হুইবে । চিকিৎস। পট্টকৃমির অও কি প্রকারে শরীরে প্রবেশ করে, তাহা জানা যায় না, এ জন্য রোগোৎপত্তি নিবারণ করিবার উপায় নাই | পীড়া স্পষ্টরূপে প্রকাশিত হইলে অনেকে অনেক ঔষধ ব্যবহার করিয়া থাকেন। ক্যালমেল, পট: আইওডাইড় এবং লবণ সচরাচর ব্যবহৃত হয়। অনেকেই আবার অস্ত্রোপচার করিয়া থাকেন এবং থলীর তরল পদার্থ নিঃসৃত হইলে তাহাতে আইওডিনৃ বা পিতের পিচকারি দেন । এইরূপ চিকিৎসায় বিশেষ উপকার দেখিতে পাওয়া যায় না।